প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অবসাদে ভুগছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন, ক্যারিয়ারে ওঠা-পড়া আর মেনে নিতে পারছিলেন না। অবশেষে আত্মহননের পথই বেছে নিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের সহ-অভিনেতা সন্দীপ নাহার। ফেসবুকে সুইসাইড নোটে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে দিয়ে গিয়েছেন। সোমবার রাতে মুম্বাইয়ের গুরগাঁও এলাকায় সন্দীপের বাড়ি থেকেই তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। খতিয়ে দেখছে মুম্বাই পুলিশ।
সুইসাইড নোট থেকে জানা যায়, সন্দীপ নাহারের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। একইসঙ্গে তিনি জানান, তার মৃত্যুর জন্য পরিবারের কোনও সদস্য দায়ী নন। সন্দীপ চিঠিতে লেখেন, '' আর বাঁচার কোনও ইচ্ছা নেই। জীবনে অনেক ভাল সময় কাটিয়েছি, সবরকম সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি, মোকাবিলা করেছি, কিন্তু আজ আমি যে ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তা সহ্যের বাইরে। এই জীবনের মানে কী, যেখানে আত্মসমম্মানই বজায় থাকল না! আমার স্ত্রী কাঞ্চন শর্মা, শাশুড়ি বীনু শর্মা আমায় কোনওদিন বুঝল না, বোঝার চেষ্টাও করল না। আমার আর আমার স্ত্রীর স্বভাব সম্পূর্ণ আলাদা...প্রতিদিনের অশান্তি আর নিতে পারছি না... এতে কাঞ্চনের কোনও দোষ নেই।''
এমএস ধোনী: দ্যা আনটোল্ড স্টোরি-এ সুশান্ত সিং রাজপুতের সহ-অভিনেতা ছিলেন সন্দীপ, অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার অভিনীত কেসরি-র মতো বিগ বাজেট ছবিতেও। সন্দীপ নাহারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বালজিৎ একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অভিনেতা ভীষণ আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন, কখনওই সব কথা খুলে বলতেন না। প্রয়াত অভিনেতার পরিবার চণ্ডীগড়ে, সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর মৃতদেহ। বালজিৎ এও জানান, বহুদিন ধরেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা সন্দীপ, কখনওই তাঁর পারিবারিক সমস্যা নিয়ে বন্ধুদেরও কিছু বলতেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।