পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের পুজকরা গ্রামে বখাটে ও মাদকাসক্ত যুবক সাইফুল ইসলাম মা নুরজাহান বেগমকে কুপিয়ে এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রী নুরুন্নাহারকে গলাকেটে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন সাইফুল। গত সোমবার এ ঘটনায় স্থানীয়রা সাইফুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। সে ওই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন জানান, ৬ মাস আগে সাইফুল ইসলামের ছোট বোন জেসমিন আক্তার প্রেম করে একই গ্রামের শাহজাহানকে পালিয়ে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছিলেন সাইফুল। পরিবারের সদস্যরা একপর্যায়ে মেনে নিলেও ভাই সাইফুল ইসলাম বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। গত সোমবার সকালে জেসমিন স্বামীর বাড়ি থেকে নাস্তা পাঠায় স্বজনদের জন্য। ওই নাস্তা সাইফুলকে খাওয়ানোয় মা নুরজাহানের সাথে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সাইফুল মাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। তাকে বাঁচাতে বড় ভাইয়ের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম পুষ্প এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে সাইফুল। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত বটি দা জব্দ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইয়ামিন সুমন জানান, এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে আবদুল আজিজ বাদী হয়ে মামলা করেন। তাকে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় সে হত্যাকান্ডের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তদন্ত সাপেক্ষে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব জানান, সাইফুল বখাটে ও মাদকাসক্ত। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার সালিশ হয়েছে। কখনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত হবে না বলে সে ইউপি কার্যালয়ে অঙ্গীকারনামা দিয়েছিল। কিন্তু সে তার মা ও ভাবীকে খুন করে। আমরা তার কঠোর শাস্তি চাই।
এদিকে, মা-ভাবিকে হত্যার ঘটনায় সাইফুলের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে এলাকাবাসী। গতকাল সকালে পুজকরা গ্রামের পূর্ব পাড়া এলাকার শত শত মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সামছুল আলম শামীম মিয়াজী, হাফেজ শাহ আলম, নিহত নুরুন নাহারের ছোট বোন সকিনা বেগম, জামেনা বেগম, বিবি মরিয়ম, আব্দুল করিম, আলী আক্কাস, তাজুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, এনায়েত উল্লাহ ভান্ডারী, ফজলুল হক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।