প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
যে কোনও ইস্যুতেই টুইট করাটা অভ্যেস করে ফেলেছেন কঙ্গনা রানাউত। সে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুই হোক কিংবা কৃষক আন্দোলন। গত মঙ্গলবারই জনপ্রিয় মার্কিন পপ-তারকা রিহানাকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এবার তিনি মুখ খুললেন মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান নিয়েও। প্রশ্ন তুললেন, মহিলা বলেই কি রাষ্ট্রপ্রধান আং সান সু কি-কে আটক করা হল?
শুক্রবার সকালে টুইটারে কঙ্গনা লেখেন, ”আমি একটা পিরিয়ড ফিল্ম করেছিলাম ‘রেঙ্গুন’ নামের। সেই সময় আমি রেঙ্গুন ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমাদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেছিলাম। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখে আমার প্রশ্ন, পুরুষরা একজন মহিলাকে সর্বোচ্চ আসনে সহ্য করতে পারেন না বলেই কি এমনটা ঘটল?”
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান আং সান সু কি-সহ শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট একথা জানিয়ে জনতার কাছে আবেদন করে বলেন, “এই ঘটনায় আবেগে ভেসে কেউ কোনও পদক্ষেপ করবেন না। সবাই আইন মেনে চলুন।”
মিয়ানমারের ঘটনা নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়েই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ভারতও সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সু কি-র গ্রেপ্তারিকে নারীবাদের দিক দিয়ে দেখার কোনও প্রবণতা এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি। কঙ্গনাই সম্ভবত এই ইস্যুতে এমন একটি দিককে তুলে ধরতে চাইলেন।
এর আগে মঙ্গলবারই কৃষকদের পাশে থাকা নিয়ে রিহানার বার্তার পালটা দিতে দেখা গিয়েছিল ‘কন্ট্রেভার্সি ক্যুইন’কে। রিহানা প্রশ্ন তুলেছিলেন, “কেন আমরা এই বিষয় নিয়ে কথা বলছি না?” সেই টুইট শেয়ার করেই কঙ্গনা লেখেন, “কেউ এই বিষয় নিয়ে কথা বলছেন না কারণ এরা কৃষক নয়, সন্ত্রাসবাদী। যারা দেশকে ভাগ করতে চাইছে। যাতে চিন সেই টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া দেশ দখল করে নিতে পারে। আর সেখানে চিনা উপনিবেশ তৈরি করতে পারে। ঠিক যেমন আমেরিকার ক্ষেত্রে হয়েছিল… তাই চুপ করে থাকো, আমরা তোমাদের মতো নির্বোধ নই যে নিজেদের দেশকে বেচে দেব।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।