গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চট্টগ্রামে মেয়র নির্বাচনের দিন মানুষ হত্যা করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। মানুষের নাগিরক ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। নির্বাচনের নামে তামাশা বন্ধ করতে হবে। সরকার মানুষের জান, মাল, ইজ্জত-আব্রা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আল জাজিরার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সরকারের রাতের ঘুম নেই। বিগত ৫০ বছরেও এমন কোনো প্রতিবেদন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়নি। এতে দেশের ভাব-মর্যাদা ভুলুন্ঠিত হয়েছে। জাতিসংঘ আল জাজিরার প্রতিবেদন সর্ম্পকে জানতে চেয়েছে। জনবিস্ফোরণ ঘটলে এই সরকার সাগরে নিক্ষিপ্ত হবে।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরী আয়োজিত মহানগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিজয় ও স্বাধীনতার ৫০ বছর; দুর্নীতিমুক্ত টেকসই উন্নয়ন ও নীতি নৈতিকতায় সমৃদ্ধ ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। সম্মেলন উদ্বোধন করেন মহানগরী উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
সম্মেলনে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমকে সভাপতি, আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদারকে সেক্রেটারী করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদকে সভাপতি এবং মাওলানা আরিফুল ইসলামকে সেক্রেটারী করে ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
পীর সাহেব চরমোনাই ভালবাসা দিবসের নামে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দেশে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এধরণের নির্লজ্জতার কারণে। অবাধ স্বাধীনতার নামে যৌনতা, বেহায়াপনাকে বিভিন্নভাবে উস্কে দেয়া হচ্ছে। বিশ্ব হিজাব দিবসে নারীদের হিজাব পড়ায় উদ্ধুদ্ধ করতে ঢাবি ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে বাঁধা ও হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, এ সরকারের আমলে চুরি, ডাকাতি, ঘুষ, দুর্নীতি, মাদক, বিদেশে অর্থ পাচার এবং ধর্ষণের উন্নতি হয়েছে। মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন এবং বাকস্বাধীনতা হরণ করে প্রশাসনের উপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার। আল জাজিরার প্রতিবেদনের পর লজ্জা থাকলে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত ছিলো। মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। জাল ভোট, কেন্দ্র দখল করে আজীবন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। তিনি নির্লজ্জ ইসির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান ইসি গৃহপালিত কমিশনে পরিণত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।