প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়। গ্রেপ্তার হলেন বলিউডের সহকারী পরিচালক ঋষিকেশ পাওয়ার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুশান্তকে মাদক সরবরাহ করতেন তিনি। আর সেই অভিযোগেই মঙ্গলবার ঋষিকেশ পাওয়ারকে গ্রেপ্তার করা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বিভাগ।
গত ১৪ জুন অভিনেতার রহস্যজনক মৃত্যুর পর থেকেই তিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কোমর বেঁধে ময়দানে নামে রহস্য উদঘাটনের জন্য। তবে সিবিআই-এর তদন্ত গতি বর্তমানে কিছুটা শ্লথ হলেও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো কিন্তু পুজোর পর থেকেই ফের নয়া উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে অর্জুন রামপাল-সহ আরও বেশ কজন বলিউড তারকাকে নতুন তদন্ত প্রক্রিয়ায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখন থেকেই বলিউড মাদক-জালের উপর কড়া নজর ছিল। এবার সেই সূত্র ধরেই ঋষিকেশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, সুশান্তের সঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন ঋষিকেশ। তিনি পেশায় সহকারী-পরিচালক। বেশ কদিন ধরেই নাকি তার উপর নজর রাখছিলো নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এর আগে একাধিকবার ঋষিকেশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমনও পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে অগ্রিম জামিনের আবেদনও করেছিলেন সুশান্ত-ঘনিষ্ঠ এই বলিউড পরিচালক। কিন্তু আদালতের কাছে সেই আবেদন ধোপে টেকেনি!
মঙ্গলবার ঋষিকেশ পাওয়ারকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো থেকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলার কারণেই এদিন সন্ধেবেলা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই ঋষিকেশের ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, ঋষিকেশ শুধু সুশান্তকে নিষিদ্ধ মাদকই সরবরাহ করতেন না, তার পাশাপাশি তাকে নানা ধরনের নেশা করার প্রলোভনও দেখাতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।