পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে গোলচত্বরে ছুরিকাঘাতে হামিদুল ইসলামকে পরিকল্পিকতাবে হত্যা করা হতে পারে বলে মনে করছে পরিবার। পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের কেউ এ ঘটনার নেপথ্যে থেকে তাকে হত্যা করতে পারে। তবে পুলিশ বলছে, ঠিক কি কারণে বা কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। পুলিশ ধারণা করছে, পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রæপের হাতে হামিদুল ইসলাম খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সোমবার দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে। হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে নাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন। গতকাল এই মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে ন্যস্ত করা হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাইকোর্টের সামনের রাস্তায় ছুরিকাঘাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়।
অন্যদিকে ডেমরা থানাধীন একটি ফ্ল্যাটের তালাবদ্ধ ঘর থেকে আয়শা আক্তার (২৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারী সদ্য বিবাহিত। তার স্বামীর সঙ্গে ওই ঘরে সাবলেটে ভাড়া থাকতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, তার নাম হামিদুল ইসলাম (৫৭)। তাকে পরিকল্পিকতাবে হত্যা করা হতে পারে বলে মনে করছে তার পরিবার। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে যে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হতে পারে। নিহতের পকেটে ১৬ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। তার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিতভাবে হত্যা হলে, নিহতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকত। সাধারণত ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হলে ছিনতাইকারীরা তাকে শায়েস্তা করতে হাত-পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে থাকে। হামিদুল ইসলাম ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ার কারণে ছিনতাইকারীরা তার ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে কারও শত্রæতা আছে বলে আমরা শুনিনি। তার শরীরে ছুরির আঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের মনে হচ্ছে এটি ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাত।
শাহবাগ থানার ওসি মো. মামুন অর রশিদ বলেন, এ হত্যাকান্ডে ছিনতাইকারীরা জড়িত থাকতে পারে। তবে হামিদুল যেহেতু ডিশ ব্যবসায়ী ছিলেন, এ হত্যাকান্ডের পেছনে ব্যবসায়িক বিরোধের কোনো ঘটনা ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক থাকতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টিও তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে মামলাটি তদন্তের জন্য সোমবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তালাবদ্ধ ঘর থেকে সদ্য বিবাহিত নারীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়র জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় ডেমরা থানার সরুলিয়ার পশ্চিম টেংড়া এলাকার ৫তলা ভবনের নিচতলার একটি বাসায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে আয়শা আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আয়শা ডেমরার একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। আর তার স্বামী জোনায়েদ পেশায় একজন গাড়িচালক।
ডেমরা থানার ওসি মো. খন্দকার নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডেমরার সরুলিয়ার পশ্চিম টেংড়া এলাকায় ৫তলা ওই ভবনের নিচতলায় একটি ফ্ল্যাটে সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকতেন আয়শা-জুনায়েদ দম্পতি। তারা সদ্য বিয়ে করেছেন।
তিনি আরো জানান, নিহতের স্বামী জোনায়েদের এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কোনো কলহের জের ধরে হয়তো স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করে ফ্ল্যাটের তালাবদ্ধ করে পালিয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীর খোঁজ করা হচ্ছে। তাকে আটক করা গেলে হত্যার কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।