পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পারস্য উপসাগরের তীরে বড় একটি ভূগর্ভস্থ মিসাইল ঘাঁটির ফুটেজ প্রকাশ করলো ইরানের এলিট বাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি)। খবর আল- জাজিরার। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, আইআরজিসি’র উচ্চ পর্যায়ের কমান্ডাররা ভূগর্ভস্থ ওই অস্ত্র গুদামে প্রবেশ করছে। গুদামের সিঁড়িতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা আঁকা রয়েছে, যাতে করে কেউ সেটিতে প্রবেশ করার সময় এগুলোর ওপর দিয়ে হাঁটতে পারে। এরপর তারা দীর্ঘ টানেল ধরে হেঁটে যেতে থাকেন। এসময় বিভিন্ন ধরনের মিসাইল দেখা যায়। আবার লঞ্চারসহ বহু ট্রাকও দেখা যায়। লঞ্চারগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে আইআরজিসির প্রধান হুসেইন সালামি বলেন, আমাদের পেছনে আপনারা মিসাইল এবং তাদের লঞ্চ সিস্টেম দেখতে পাচ্ছেন। মিসাইলের এই কলাম কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আইআরজিসি নেভির এ ধরনের ‘বহু’ ঘাঁটি আছে বলেও মন্তব্য করেছেন সালামি। তিনি বলেন, আইআরজিসি নেভি মিসাইলগুলো কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এগুলো নিখুঁত হামলার ক্ষমতা বেড়েছে এবং খুবই বিধ্বংসী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অবস্থায় এই মিসাইল ঘাঁটি প্রকাশ করলো ইরান। তবে এটির অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানায়নি তেহরান। ইরানে এই মিসাইল ঘাঁটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে মধ্যপ্রাচ্যে দুটি মার্কিন বোমারু বিমান বি-৫২ টহল দেয়। গত দুই মাসে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো টহল দিলে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম মার্কিন বিমানগুলো। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।