পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে আছে ভৌত-কাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, এতদ্সংক্রান্ত আর্থিক ব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং আইন ও নানারকম বিধিবিধান।বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রাকৃতিক কাঠামো এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকার নির্মিত অবকাঠামোর বিভিন্ন অংশ বা উৎপাদন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য এসবের লভ্যতা ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নিয়ে গঠিত।
কৃষি বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক খাত এবং পানিসম্পদের প্রধান ব্যবহারকারী। কৃষিখাত ছাড়া পানির আবাসিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারও ব্যাপক। নদী-নালা এবং পুকুর-বিল-হাওর ইত্যাদি, মৎস্য, বন ও নৌ-পরিবহণ ইত্যাদি খাত ছাড়াও পানিসম্পদ পরিবেশ দূষণ রোধ, লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও বিনোদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশের পানি সম্পদের প্রাকৃতিক উৎসমূহ হচ্ছে: (ক) নদী-নালা ও খাল-বিল; (খ) প্লাবনভূমি; (গ) জলাভূমি; (ঘ) হাওর, বাঁওড় ও হ্রদ; (ঙ) পুকুর; (চ) জোয়ার প্লাবিত জমি এবং (ছ) ভূগর্ভস্থ জলস্তর।
বাংলাদেশে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার কতকগুলি জটিল ও দুরূহ ক্ষেত্র রয়েছে। এসবের মধ্যে প্রধান হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও শুষ্ক মৌসুমে খরার সমস্যা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ক্রমবর্ধমান পানি চাহিদার মোকাবিলা, নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন, আর্সেনিক, নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া এবং নদীভাঙন। এছাড়া পানিসম্পদকেন্দ্রিক পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা বিশেষ করে মৎস্যসম্পদের এলাকাসমূহ এবং জলাভূমি এলাকার পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বা ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিভিন্ন বিষয় যেমন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি, বহির্দেশীয় নদী বা নদী-অববাহিকায় পরিবর্তন ইত্যাদি বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কাজকে খুবই জটিল করে তুলছে। সর্বোপরি, পানির বিভিন্ন ব্যবহারকারীদের প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাহিদার বিষয়টি তো রয়েছেই।
সরকারের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা নীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সমীক্ষা প্রতিবেদন হচ্ছে: ১. তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন, জাতিসংঘের কারিগরি সহায়তা মিশন, ১৯৫৭ (ক্রুগ মিশন প্রতিবেদন), ২. পূর্ব পাকিস্তান পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টার প্ল্যান ১৯৬৪, ৩. মাস্টার প্ল্যান ১৯৬৪ পর্যালোচনার পর বিশ্বব্যাংক প্রণীত ১৯৬৬ সালের প্রতিবেদন, ৪. বিশ্বব্যাংক প্রণীত ভূমি ও পানিসম্পদ খাত সমীক্ষা প্রতিবেদন ১৯৭২, ৫. পানিসম্পদ পরিকল্পনা (১ম পর্যায়) ১৯৮৬, ৬. জাতীয় পানিসম্পদ পরিকল্পনা (২য় পর্যায়) ১৯৯১, ৭. ফ্লাড অ্যাকশন প্ল্যান ১৯৮৯-৯৫, এবং ৮. বাংলাদেশ পানি সম্পদ ও বন্যা ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রতিবেদন ১৯৯৫।
১৯৫৭ সালে প্রণীত ক্রুগ মিশন প্রতিবেদনটি ১৯৫৪, ১৯৫৫ এবং ১৯৫৬ সালের উপর্যুপরি ভয়াবহ বন্যার পর পূর্ব পাকিস্তানে বন্যানিয়ন্ত্রণ ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর পরিচালিত ব্যাপক সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এই প্রতিবেদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল একটি সরকারি কর্পোরেশন গঠন, যার কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়নের সমস্যাসমূহকে সমন্বিতভাবে একত্রিত করে দায়িত্ব সহকারে সেগুলির সমাধান করা। এই সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৫৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। উক্ত কর্তৃপক্ষের ১৯৬৪ সালের মাস্টার প্ল্যানটি মূলত কৃষির জন্য পানি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রণীত হয়। এই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু বড় আকারের সরকারি উদ্যোগ শুকনা ও বর্ষা উভয় মৌসুমেই পানি ব্যবস্থাপনার কর্মসূচি হিসেবে চিহ্নিত করে। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল, ভৌগোলিক অঞ্চল অনুযায়ী গ্রুপবদ্ধ মোট ৬৩টি পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প। মাস্টার প্ল্যানের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল জাতীয় পর্যায়ে পানিসম্পদ খাতের পরিকল্পনার সূচনা করা এবং এর সূত্র ধরে, জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা থেকে অধিকাংশ উপকূলীয় অঞ্চলকে প্রতিরক্ষাসহ বন্যানিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচ কর্মসূচির অনেক বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন।
বিশ্বব্যাংক ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের ভূমি ও পানিসম্পদের ওপর যে প্রতিবেদন প্রণয়ন করে তাতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশে পানিসম্পদ উন্নয়নের উদ্যোগসমূহ থেকে দ্রুত সুফল অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদন ক্ষুদ্র ও মাঝারি আয়তন, প্রযুক্তিগতভাবে সহজ এবং স্বল্প ব্যয়ের ও শ্রমঘন প্রকল্পসমূহকে উচ্চ অগ্রাধিকার দিতে বলে। এ জাতীয় প্রকল্প হিসেবে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ এবং সাধারণ পানি নিষ্কাশন খালকে চিহ্নিত করা হয়। অগভীর পাম্প ও টিউবওয়েলের সাহায্যে সেচ প্রকল্পকে এ জাতীয় প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেদনটি সামগ্রিকভাবে গ্রহণ না করলেও এটির গবেষণা ফলাফল ও সুপারিশসমূহ সরকারের পানিসম্পদ উন্নয়নের কৌশলকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।
১৯৮৩ সালে গঠিত মাস্টার প্ল্যান সংস্থা ১৯৮৬ সালে জাতীয় পানিসম্পদ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এই পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে পানি সম্পদ উন্নয়নের ১৫টি সুনির্দিষ্ট ধরন চিহ্নিত করা হয় এবং ক. বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন; খ. সেচ; গ. বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচ; এবং ঘ. বিবিধ বিষয়- এই চার ধরনের কর্মসূচি বিশ্লেষণ করা হয়। পরিকল্পনায় বিনিয়োগের জন্য যেসব ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সেগুলি ছিল: ক. অগভীর নলক‚পের সাহায্যে ক্ষুদ্রসেচ, খ. বড় ধরনের সেচ, গ. গভীর নলক‚পের সাহায্যে সেচ, এবং ঘ. বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন।
১৯৮৭ এবং ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগী বিদেশি সংস্থা ও সরকারসমূহ পুনর্বার বাংলাদেশের, বিশেষ করে এখানকার শহরাঞ্চলের বন্যা নিয়ে বিশেষভাবে মনোযোগী হয়। ১৯৮৯ সালে বন্যা পরিকল্পনা সমন্বয় সংস্থা গঠিত হয় এবং তা ফ্লাড অ্যাকশন প্ল্যান নামে একটি কার্যক্রমের আওতায় ২৬টি সমীক্ষা কাজে হাত দেয়। ফ্লাড অ্যাকশন প্ল্যানের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল: ক. অবকাঠামো ছাড়া অন্যবিধ উপায়ে বন্যা মোকাবিলার উপায় নির্ধারণ; খ. আঞ্চলিক পরিকল্পনায় কৃষিখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া; এবং গ. সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাবকে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া, বিশেষত মৎস্য চাষ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় জনগণের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া।
পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার কৌশলগত কাঠামো বিষয়ক নীতি বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৯ সালে জাতীয় পানি সম্পদ নীতি ঘোষণা করে। এই নীতির ছয়টি প্রধান লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সামগ্রিক পরিবেশ প্রতিরক্ষা। পানি সম্পদ খাতের উপর প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব ফেলে এমন অন্যান্য সরকারি নীতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জাতীয় পরিবেশ নীতি ১৯৯২, জাতীয় বন নীতি ১৯৯৪, জাতীয় জ্বালানি নীতি ১৯৯৬, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন সংক্রান্ত জাতীয় নীতি ১৯৯৮, জাতীয় মৎস্যচাষ নীতি ১৯৯৮, জাতীয় কৃষিনীতি ১৯৯৯ এবং শিল্পনীতি ১৯৯৯।
পানি সম্পদের উপর অধিকার ও পানি সম্পদ আইন ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগের এবং ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদের মালিকানা রাষ্ট্র কর্তৃক সংরক্ষিত। বাংলাদেশে পানি সম্পদ খাত বিষয়ে প্রচুর আইন বিদ্যমান। এগুলির কোন কোনটি একশ বছরেরও আগে প্রণীত। বর্তমানে কার্যকর এমন কয়েকটি উল্লেখযোগ্য আইন হচ্ছে সেচ আইন ১৮৭৬, বাঁধ ও পয়ঃপ্রণালী আইন ১৯৫২, বাংলাদেশ পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আদেশ ১৯৭২, সেচের পানির মূল্যহার অধ্যাদেশ ১৯৮৩, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ ১৯৮৫, পানি সম্পদ পরিকল্পনা আইন ১৯৯২, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন ১৯৯৬, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭, পরিবেশ আদালত আইন ১৯৯৯, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন ২০০০ এবং পৌর এলাকার জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০১।
পানি খাতের প্রকল্প ও কার্যক্রমসমূহ বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রথাগত ধরন ছিল মূলত বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচের জন্য নানাবিধ কাঠামো নির্মাণ। সম্প্রতি বন্যা সতর্কীকরণ ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার উপায় সম্বলিত বিকল্প ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পানি ব্যবস্থাপনায় যেসব কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয় সেগুলির মধ্যে আছে: ক. গ্রামীণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন- দেশের অভ্যন্তরে এবং উপক‚লীয় এলাকাসমূহে বাঁধ নির্মাণ ও পোল্ডার নিক্ষেপ; পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রক পয়েন্ট স্থাপন; নদী শাসন, নদীতীর প্রতিরক্ষা ও নদী খনন। খ. শহর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন- শহর রক্ষাবাঁধ; শহর এলাকা প্রতিরক্ষা স্থাপনা; রেগুলেটর, পাম্প ইত্যাদি। গ. ক্ষুদ্র সেচ- গভীর ও অগভীর নলকূপ; রাবার বাঁধ; খাল পুনঃখনন।ঘ. বৃহৎ সেচ- পাম্প; সেচখাল নেটওয়ার্ক; পানি নিষ্কাশন খাল নেটওয়ার্ক; ব্যারেজ ইত্যাদি। ঙ. বন্যা থেকে প্রতিরক্ষা- বাস্তভিটা উঁচুকরণ এবং আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ। চ. বন্যা সতর্কীকরণ- বন্যা/দুর্যোগ সম্পর্কে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ, দূর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থাপনা। ছ. পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন- ভূপৃষ্ঠের উপরিস্থ এবং ভূগর্ভস্থ উভয় প্রকার উৎস থেকে সংগৃহীত পানি পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ; পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা; টিউবওয়েলের সাহায্যে খাবার পানি সরবরাহ। জ. ড্রেজিং- নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও নৌচলাচল সুগমকরণ। ঝ. ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্ত্ততি- ভেড়িবাঁধ; ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রভৃতি নির্মাণ। ঞ. পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন- বাঁধ নির্মাণ, আড়বাঁধ নির্মাণ, নদীশাসন; বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি। জাতীয় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা সংস্থা একটি খসড়া পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর পরিকল্পনাটি নবায়ন করার কথা। পরিকল্পনায় চিহ্নিত ৮টি উপখাত হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, সহায়ক পরিবেশ বিনির্মাণ, প্রধান নদনদী, নগর ও পল্লী এলাকা, প্রধান প্রধান নগর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, এবং পরিবেশ ও জলাশয়।
লেখক: গবেষক, সহকারী কর্মকর্তা, ক্যারিয়ার এন্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।