পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের পানিসম্পদ রক্ষায় ৯টি সুপারিশ করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। এসব সুপারিশের মধ্যে অন্যতম ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্য বাড়ানোর পাশাপাশি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। আগামীকাল ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস সামনে রেখে গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনার থেকে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। সেমিনারে বিশ্বব্যাপী পানি সংকট সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো ও ২০৩০ সাল নাগাদ সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেমিনারে যেসব সুপারিশ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে— ড্রেজিং করে নদীর নাব্য বাড়ানো ও অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া; খরা মৌসুমে সেচ ও রাসায়নিক সার নির্ভর ধান চাষের পরিবর্তে প্রকৃতি নির্ভর ধান চাষের উদ্যোগ নেওয়া; সব অবৈবধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেওয়া ও অবৈধ দখলদারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া; এবং অপরিশোধিত শিল্প কারখানায় বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করা।
সুপারিশের মধ্যে আরও আছে— ঢাকার আশপাশের নদীসহ অন্যান্য সব নদী ও জলাশয় দখল, ভরাট ও দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া; নদী দূষণমুক্ত করা। নদীর পানি কৃষি ও শিল্পে এবং পরিশোধন করে খাবার পানি হিসাবে ব্যবহার করা; নদীর প্রবাহ ও নাব্য যথাযথ রাখার জন্য নদীতে পিলার সমৃদ্ধ ব্রিজের পরিবর্তে ঝুলন্ত ব্রিজ বা টানেল নির্মাণ করা; এবং নিরাপদ পানি নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট আইনগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।
পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান সেমিনারে বলেন, নদী দূষণ থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। কেউ ইচ্ছা করে পানি দূষণ করতে পারবে না। এ জন্য আমাদের আন্দোলন করতে হবে। অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট, ব্রিজ, বাঁধ নির্মাণসহ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে নদী বাহিত পলি প্রবাহের কারণে পানি সাগরে যেতে না পারায় নদীর তলদেশ ভরে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে নদীর নাব্য, হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি আছে, তাও বন্ধ হওয়ার পথে। তিনি আরও বলেন, উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো শুষ্ক বালুচরে পরিণত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলনের সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, খাবার পানি সরবরাহ, নৌচলাচল, কৃষি ও শিল্প উৎপাদনে নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে নদীর সংখ্যা ৪০৫টি। এর মধ্যে অভিন্ন নদী ৫৭টি, ৫৪টি ভারত ও তিনটি মিয়ানমারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দেশের নদীগুলোর ৪৮টি সীমান্ত নদী, ১৫৭টি বারোমাসি নদী, ২৮৪টি মৌসুমী নদী। মানুষের অত্যাচারে নদীগুলো মৃতপ্রায়। ফলে পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীবন জীবিকা মারাত্মক হুমিকর মুখে।
পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বারসিক সমন্বয় সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, পবার সম্পাদক এস এ ওয়াহেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।