পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জমি এখন থেকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। দেশের ৬৪ জেলায় বেড়ীবাঁধের পার্শ্বের খাস জমি এবং অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত জমির উন্নয়ন করে ব্যবহার উপযোগী করতে ডিসিদের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। একই চিঠি পানি উন্নয়ন সকল জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীদের দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ ইনকিলাবকে বলেন,৬৪জেলায় বেড়ীবাঁধের অধিগ্রহণকৃত খাস জমিতে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে খননকৃত মাটি দ্বারা জমি উন্নয়ন করে নির্বাহী প্রকৌশলীরা জেলা প্রশাসকদের সাথে যোগাযোগপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সকল জেলা নিবাহী প্রকৌশলীদের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। বেড়ীবাঁধের অব্যবহৃত জমি ব্যবহার উপযোগী করে গৃহহীনদের নামে জমি দেওয়া হবে।
গত গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম চৌবে স্বাক্ষরিত পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়. বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সারাদেশব্যাপি বিভিন্ন নদ-নদীর ড্রেজিং ও পুন:খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ড্রেজিং ম্যাটেরিয়াল দ্বারা বিভিন্ন জেলার ভূমি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গত আগস্ট মাসের মাসিক সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতে আরো বলা হয়, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ৬৪ জেলায় বেড়ীবাঁধের অধিগ্রহণকৃত খাস জমিতে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে খননকৃত মাটি ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল) দ্বারা জমি উন্নয়ন করে নির্বাহী প্রকৌশলীরা জেলা প্রশাসকদের সাথে যোগাযোগপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উক্ত সিদ্ধান্তের আলোকে আপনার জোনে চলমান প্রকল্প এলাকার বেড়ীবাঁধের অধিগ্রহণকৃত খাস জমিতে গৃহহীনদের ঘর নিমাণের লক্ষ্যে খননকৃত মাটি দ্বারা জমি উন্নয়নপূর্বক ব্যবহার উপযোগী করে সংশ্লিষ্ট জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে আলোচনা করে জমির ব্যবহারের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সাথে নিবিড় যোযোগ রাখবেন এবং উন্নয়নকৃত জমিতে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ কররেন।
ঢাকার সাভারে ৬৬ বছর পর দখলে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৫৮৮ শতাংশ জমি উদ্ধার করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আইনুল হক বলেন, সরকারি জমি সেটা ৬৬ বছর আগের হোক আর ১০ বছর আগের হোক, যখন এটার সপক্ষে সব কাগজপত্র রেডি থাকে, তখন আমি উচ্ছেদ করতে পারি। সেই সঙ্গে বাজেটের দরকার হয়, ডিসি অফিস থেকে ম্যাজিস্ট্রেট দরকার হয়, একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত লাগে, পুলিশ ফোর্স লাগে। এসব কিছু একত্রিত করতে যে সময় লাগে সেটার জন্যই সময় ঠিক করা হয়েছে আজকে থেকে অভিযান।
এটার নোটিশ হয়েছে প্রায় ১ মাস আগে। নোটিশ হওয়ার পর এলাকার লোকজনকে জানানো হয়েছে। ডিসি অফিস, এসিল্যান্ড ও আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার এসে জমির দলিল, পর্চা, খতিয়ান ম্যাপ দেখে শুধু সরকারি জায়গাতে নির্মাণ করা স্থাপনাতেই দাগ দেয়া হয়েছে। সেই স্থাপনাগুলো আমরা আজ ভাঙা শুরু করেছি। ৫৮৮ শতাংশ জায়গার অধীনে থাকা স্থাপনা পর্যায়ক্রমে ভেঙে দখলমুক্ত করা হয়েছে। একই ভাবে সারাদেশে অভিযান চালানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।