মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোর তালিকায় এবারো শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। লন্ডনভিত্তিক বিখ্যাত গণমাধ্যম দ্য ইকোনোমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রকাশ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর তালিকা।
প্রায় ১৩৩টি দেশের বিভিন্ন শহরের ওপর গবেষণা ও জরিপ চালিয়ে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন ধরনের ১৩৮টি পণ্যের বাজারমূল্য এবং একই সাথে প্রয়োজনীয় পরিষেবাকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী বাণিজ্যিক নগরী নিউ ইয়র্ককে আদর্শ হিসেবে ধরে অন্যান্য শহরগুলোর সাথে তুলনামূলক পার্থক্যের বিচারে নির্ধারণ করা হয় কোন শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় কেমন।
গত বছরের মতো এ বছরও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর খেতাব পেয়েছে রোমাঞ্চ ও শিল্প-সাহিত্যের তীর্থভূমি খ্যাত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। প্যারিসের সাথে সম্মিলিতভাবে তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত জুরিখ এবং হংকং। সিটি কস্ট অব লিভিং ইনডেক্স অনুসারে এ তিনটি শহরের স্কোর ১০৩।
এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে তালিকার দুই নম্বর স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হিসেবে পরিচিত ওসাকার অবস্থান তিনে।
ওসাকার সাথে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত তেল আবিব। অথচ আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর তালিকায় তেল আবিবের অবস্থান ছিল ২৮ নম্বরে। ওসাকা এবং তেল আবিবের পর সমান একশো পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে চতুর্থ স্থান দখল করেছে পৃথিবীর রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউ ইয়র্ক এবং সুইজারল্যান্ডের অন্যতম প্রসিদ্ধ নগরী জেনেভা।
হলিউডের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন রয়েছে তালিকার পঞ্চম স্থানে।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের প্রায় সকল শহরের অর্থনীতির সূচক তুলনামূলকভাবে নিম্নমুখী অবস্থানে পতিত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রায়। তবে আমেরিকাসহ আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমে এলেও একেবারে উল্টো পথে হেঁটেছে পশ্চিম ইউরোপের শহরগুলো। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর তালিকায় শীর্ষ দশের চারটি পশ্চিম ইউরোপের শহর যাদের মধ্যে প্যারিস এবং জুরিখ যৌথভাবে এ তালিকার এক নাম্বারে।
তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর তকমা পেয়েছে ভারতের বন্দরনগরী খ্যাত মুম্বাই। মুম্বাইয়ের পর এ অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা। গত বছর বিশ্বের ব্যয়বহুল নগরীর তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিলো ৬৬, ছয় ধাপ পিছিয়ে এবারের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৭২। ইআইইউর প্রধান উপাসনা দত্ত বলেন, আগের বছরগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবে এশিয়ান শহরগুলো তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করেছে। তবে মহামারি এবার এই তালিকার রদবদল করেছে। ব্যাংকক ২০ ধাপ পিছিয়েছে, এখন সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ৪৬তম স্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপের শহরগুলো গত বছরের তুলনায় কম ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে পশ্চিমা ইউরোপীয় শহরগুলো ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। গতবারের তুলনায় তালিকায় এক ধাপ করে নিচে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের তিন শহর নিউইয়র্ক, কোপেনহেগেন ও লস অ্যাঞ্জেলেস। এ বছর জেনেভার সঙ্গে যৌথভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে নিউইয়র্ক। নবম স্থানে কোপেনহেগেন ও লস অ্যাঞ্জেলেস। সূত্র : দ্য ইকোনোমিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।