মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের উইঘুর মুসলমানদের নিয়ে আবার সোচ্চার হলো কানাডা। উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে চীন গণহত্যার নীতি নিয়ে চলছে বলে জানাল কানাডার সংসদীয় কমিটি। তবে চীন এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কানাডার সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে চীনের নীতির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উইঘুরদের ধরে শিবিরে আটকে রাখা হয়, তাদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো হয়, তারা সবসময় রাষ্ট্রের নজরদারিতে থাকেন, তাদের জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণও করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীন গণহত্যার নীতি নিয়েছে। তারা উইঘুরদের সংস্কৃতি ও ধর্ম মুছে দিতে চায়। কানাডার এই রিপোর্টের তীব্র বিরোধিতা করেছে চীন। বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই রিপোর্ট ভিত্তিহীন। কানাডা কখনোই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কানাডার সংসদীয় কমিটি ওই এলাকার রাজনৈতিক স্থায়িত্ব, আর্থিক বৃদ্ধি, জাতিগত ঐক্য ও সামাজিক সৌহার্দ্যকে দেখেইনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এই রিপোর্ট মিথ্যা ও ভুল তথ্যে ভরা। রিপোর্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে, কমিটির সদস্যরা এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
সাম্প্রতিক সময়ে কানাডা ও চীনের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। ২০১৮-র ডিসেম্বরে চীনের এক বড় টেলিকম কোম্পানির প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করে আমেরিকার হাতে তুলে দেয় কানাডা। চীনও কানাডার এক সাবেক কূটনীতিক ও একজন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। অক্টোবরের গোড়ায় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, চীন ‘হোস্টেজ ডিপ্লোমেসি’ করছে। গত কয়েক মাসে দুই দেশের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে। কানাডা চীনের মানবাধিকার ভঙ্গ, হংকং, এবং উইঘুরদের নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। চীন বলছে, কানাডা এই ভাবে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে উইঘুর নিয়ে সংসদীয় রিপোর্ট দুই দেশের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রে চলে এসেছে। সূত্র: এপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।