Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঝলক দেখিয়ে বৃত্ত ভাঙলেন মেহেদী

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:২০ এএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা, বোলারদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স আর ম্যাচের ফাঁকে এক পশলা বৃষ্টি- মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে এই তিনটি দৃশ্য যেন নিয়মে পরিণত হয়েছিল। তবে গতকাল সেই বৃত্ত ভাঙলেন শেখ মেহেদী হসান। টপঅর্ডার ব্যাটসমান, হয়েও এদিন খেলেছেন টেলএন্ডার হিসেবে। আর তাতেই বাজিমাত করেছেন তামিম একাদশের এই তুরণ অলরাউন্ডার। বিকেল সাড়ে ৪টায় বৃষ্টি-বাধায় ম্যাচ থামার আগে ৪০.৩ ওভারে তামিমদের রান ৮ উইকেটে ১৫৪। সেখান থেকে নিজের ঝড়ো ফিফটি আর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ৮৮ রানের জুটিতে দলকে দিয়েছেন লড়াইয়ের ভিত। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে তামিমের দলের সংগ্রহ ২২১। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) ভেজা আউটফিল্ডের কারণে এখনও ব্যাটিংয়ে নামেনি নাজমুল একাদশ। শেষ পর্যন্ত খেলা না হলে রিজার্ভ ডে তে আজ জবাব দিতে নামবে দলটি।
গতকাল নাজমুল একাদশের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা তামিম একাদশের ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাটসম্যানদের হাঁসফাঁস। দলীয় ১৪ রানে ওপেনার তানজিদ হাসান ফিরলে অধিনায়ক তামিম ইনিংসটা লম্বা করার প্রতিজ্ঞায় এগোচ্ছিলেন। ৪ বাউন্ডারিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৩৩ রানে। ফিফটি তো বটেই, এদিন বাঁহাতি ওপেনারের সুযোগ ছিল গত কদিনের ব্যাটিং-খিদেটা মিটিয়ে নেওয়ার। বিকেলে বিশেষজ্ঞ ধারাভাষ্য দিতে আসা হাবিবুল বাশার পর্যন্ত বললেন, ‘আজকের (কাল) উইকেট গত দুই ম্যাচের চেয়ে অনেক ভালো।’
সেই ‘ভালো উইকেট’ কাজে লাগিয়ে তামিম পারেননি বেশি দূর এগোতে। নাঈম হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল সামনের পায়ে রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে গেল সিøপে রিশাদ আহমেদের হাতে। বলটা মাটি ছুঁয়েছে কিনা, তামিমের এ প্রশ্ন উড়িয়ে আম্পায়াররা নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থেকেছেন। বিকেলে ৬৭ মিনিট বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ থাকার আগ পর্যন্ত তামিমের ৩৩ রানই ছিল ইনিংসের সর্বোচ্চ।
এনামুল হক (১২), মোহাম্মদ মিঠুন (৪) দ্রæত ফিরে যাওয়ার পর শাহাদাত হোসেন চেষ্টা করেছেন ইনিংস মেরামত করতে। পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে গড়েছেন ৪০ রানের জুটি। কিন্তু শাহাদাতও আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। রিশাদের লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল হাঁটু গেড়ে পুল করতে গিয়ে আল আমিনের ক্যাচ হয়ে উইকেট উপহার দিয়ে আসেন ৩১ রান করে।
১২৫ রানে ৮ উইকেট হারানো তামিম একাদশের স্কোর ভদ্রস্থ করেছেন লেজের দুই ব্যাটসম্যান শেখ মেহেদী ও তাইজুল। নবম উইকেটে তারা যোগ করেন ৮৮ রান। মূল বোলারদের ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় শেষ দিকে মুকিদুল ইসলাম ও সৌম্য সরকারকে দিয়ে কাজ চালাতে হয়েছে শান্ত একাদশকে। তাদের বোলিং ছিল অনুমিত, মেহেদি ¯্রফে কচুকাটা করেন তাদের। ইনিংস শেষের দুই বল আগে আউট হওয়া মেহেদী ৩টি ছক্কা ও ৯টি চারে ৫৭ বল খেলে করেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮২ রান। তাইজুল অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে।
বেশ কিছুদিন ধরেই আলো ছড়ানো তাসিকিন আহমেদ এদিন ছিলেন কিছুটা ¤øান। ১০ ওভারে ৪১ রান দিলেও পেয়েছেন মাত্র এক উইকেট। তবে ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলারের পুরস্কার পাওয়ার দাবি জানিয়ে রেখেছেন নাজমুল একাদশের আরেক পেসার আল আমিন। বিচারকদের কাজ কঠিন করে তুলতে অফ স্পিনার নাঈম হাসান ১০ ওভারে ৪ মেডেনে ২৮ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। শেষদিকে ৫ ওভার বল ঘুরিয়ে ২১ রানে ২ উইকেট শিকারী রিশাদ হোসাইনও দেখিয়েছন ঝলক।

 



 

Show all comments
  • MD yeacin Ali ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ৮:০৬ পিএম says : 0
    Nice
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বোলার

১ জানুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ