নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : নিশ্চিত ড্রয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকা ম্যাচে শেষ বিকেলে হঠাৎই উত্তেজনা। দ্রæত ৩ উইকেট নিয়ে নিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তাতে ম্যাচে ফলের সম্ভাবনা জাগেনি। তবে জাগে দারুণ এক মাইলফলকের সম্ভাবনা। আরেকটি উইকেট নিলেই ক্যারিয়ারের ৫০০ উইকেট হয়ে যেত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এদিন আর হলো না। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নিতে রাজ্জাকের অপেক্ষা বাড়ল আরেকটি ম্যাচ। ড্র হলো বিসিএলে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচ।
গতকাল বিকেএসপিতে ম্যাচের শেষ দিনে প্রথম ইনিংসে ৩৯৫ রান তুলে দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে পূর্বাঞ্চল ৪ উইকেটে ৯৩ রান তোলার পর শেষ হয় ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে পূর্বাঞ্চল করেছিল ৫৪৬ রান। ৫ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করেছির দক্ষিণাঞ্চল। যথারীতি এদিনও কুয়াশার কারণে ম্যাচ শুরু হয় দেরিতে। সকাল সাড়ে ১১টায় শুরুর পর আল আমিন ও নুরুল হাসান এগিয়ে নেন দলকে। ৮৩ রানের এই জুটি ভাঙে নুরুলের বিদায়ে। ৬৪ বলে ৪৭ রান করে রান আউট হন দক্ষিণাঞ্চল অধিনায়ক। এই জুটি ভাঙার পর দলের ইনিংসও ভেঙে পড়ে দ্রæত। ২৪ রানের মধ্যে হারায় তারা শেষ ৫ উইকেট। এক পাশে ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে যান আল আমিন। ৮৬ রানে ৫ উইকেট নেন সোহাগ গাজী। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই অফ স্পিনারের এটি ১৭তম ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংস লিটন দাস ছাড়া সুবিধা করতে পারেনি পূর্বাঞ্চলের বাকি ব্যাটসম্যানেরা। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনকে ৫ রানে ফেরান কামরুল ইসলাম রাব্বি। প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হককে এবার ১৩ রানে থামান রাজ্জাক। রাজ্জাক পরে আরও দুই উইকেট নেন পরপর দুই বলে। ১৯ রানে ইয়াসির আলির বিদায়ের পর ‘গোল্ডেন ডাক’ আশরাফুল। জাগে রাজ্জাকের ৫০০ উইকেটের আশা। তবে পরের ৫ ওভারে আর উইকেট হারায়নি পূর্বাঞ্চল। ৫১ রানে অপরাজিত থেকে যান লিটন দাস।
৪৯০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিলেন রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে ৬টির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি নিয়ে ম্যাচ শেষ করলেন ৪৯৯ উইকেটে। প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা মুমিনুল হক।
এদিকে, সিলেটে আগের দিনই জয়ের পথ তৈরি করেছিল উত্তরাঞ্চল। সোহরাওয়ার্দী শুভ ও আরিফুল হকের বোলিংয়ে পথ হলো আরও সুগম। শেষ দিনে জয় ধরা দিল অনায়াসেই। ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। শেষ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৬ রানে অলআউট হয় মধ্যাঞ্চল। ৬৮ রানের লক্ষ্যে ১ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় উত্তরাঞ্চল।
৭ উইকেটে ২৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল মধ্যাঞ্চল। শেষ তিন উইকেটে ভালোই লড়াই করেছে তারা। নয়ে নামা মেহরাব হোসেন জুনিয়র ফিরে যান ১৮ রানে। তবে নবম উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন মোশাররফ হোসেন ও মোহাম্মদ শরিফ। ২৪ রান করা শরিফকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। পরে মোশাররফকে ফিরিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন আরিফুল। মধ্যাঞ্চল অধিনায়ক করেছেন ৬১ রান। ৭১ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার শুভ। আরিফুল ৩ উইকেট নিয়েছেন ৫০ রানে। প্রথম ইনিংসে এই অলরাউন্ডার নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
রান তাড়ার আনুষ্ঠানিকতা উত্তরাঞ্চল সেরেছে দ্রæতই। ২৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন মিজানুর রহমান। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৩১ রান করে। প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা উত্তরাঞ্চলের জহুরুল হক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পূর্বাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল
পূর্বাঞ্চল ৫৪৬ ও ২য় ইনিংস : ২৯ ওভারে ৯৩/৪ (ইমতিয়াজ ৫, লিটন ৫১*, মুমিনুল ১৩, ইয়াসির ১৯, আশরাফুল ০, কাপালি ৩*; কামরুল ১/১৯, সাকলাইন ০/২৩, রাজ্জাক ৩/৪১, জিয়াউর ০/৫, মেহেদি ০/৩, মোসাদ্দেক ০/২)। দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১০.৫ ওভারে ৩৯৫ (আগের দিন ৩১৮/৫) (আল আমিন ৪৯*, নুরুল ৪৭, জিয়াউর ৭, রাজ্জাক ২, সাকলাইন ০, কামরুল রাব্বি ০; শহিদ ০/৪৩, আবু জায়েদ ০/৯০, সোহাগ ৫/৮৬, নাজমুল অপু ৩/১২৭, মুমিনুল ০/১৬, কাপালি ১/২৩)। ফল: ম্যাচ ড্র। ম্যাচ সেরা : মুমিনুল হক (পূর্বাঞ্চল)।
মধ্যাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল
মধ্যাঞ্চল ১৮৮ ও ২য় ইনিংস : ১১৬.৫ ওভারে ৩৩৬ (আগর দিন ২৩৪/৭) (মোশাররফ ৬১, মেহরাব ১৮, শরিফ ২৪, তাসকিন ৪*; শফিউল ০/৮৯, শুভাশিস ২/৪৮, ফরহাদ ১/৫৭, আরিফুল ৩/৫০, শুভ ৪/৭১, নাঈম ০/২)। উত্তরাঞ্চল ৪৫৭/৯ (ডি.) ও ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৬৮) ১২.১ ওভারে ৭১/০ (শান্ত ৩১*, মিজানুর ২৫, জুনায়েদ ১০*; তাসকিন ০/২৫, রনি ০/৬, শুভাগত ০/২০, তানবীর ১/১৫)। ফল : উত্তরাঞ্চল ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : জহুরুল হক (উত্তরাঞ্চল)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।