প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বর্তমানে বি টাউনের শীর্ষ নায়িকার স্থান দখল করে আছেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনয় তো বটেই, পারিশ্রমিকও নিচ্ছেন আকাশছোঁয়া। তবে ইদানীং মাদক কান্ডে নাম জড়িয়ে দীপিকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যেন চর্চার শেষ নেই। অভিনেত্রীর জীবনের কখনো বসন্ত হয়ে এসেছেন রণবীর কাপুর আবার কখনো বা শিল্পপতির সন্তান সিদ্ধার্থ মাল্য। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি কোনো সম্পর্কই। আর সেকারণেই জনসম্মুখে তাকে 'ক্রেজি ফিমেল' বা 'অদ্ভুত মহিলা'র তকমা দিয়েছিলেন তারই এক সাবেক প্রেমিক!
তবে দীপিকাকে কটাক্ষ করা ওই সাবেক প্রেমিক রণবীর কাপুর নন, বরং তিনি সিদ্ধার্থ মাল্য। যার সঙ্গে এক সময় চুটিয়ে প্রেম করেছেন নায়িকা। শোনা যায়, ঋষিপুত্রের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরপরেই নায়িকার জীবনে বসন্তের মতো এসেছিলেন সিদ্ধার্থ। দু'জনে একসঙ্গে ডিনার ডেট থেকে প্রকাশ্যে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন, ভক্তদের নজড় এড়ায়নি কোনোকিছুই। কিন্তু এই 'লাভি ডাভি' জুটির সম্পর্কের শেষটা ছিল তিক্ততায় ভরা।
সেসময় মুম্বাইয়ের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় সিদ্ধার্থের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন দীপিকা। অভিনেত্রীর কথায়, দিনের পর দিন বদলাতে শুরু করেন সিদ্ধার্থ। এমনকি কোনো কিছুতেই তাদের মতের মিল হচ্ছিলো না।
দীপিকা বলেন, 'আমরা দু'জন একবার রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়ার পরে হঠাৎই সিদ্ধার্থ আমাকে বিল পরিশোধ করতে বলে। আর তখনই শেষ, সম্পর্কের পাট চুকিয়ে আমি বেরিয়ে আসি।' তবে সমান অধিকার নিয়ে কথা বলা দীপিকা কেন এমনটা করেছিলেন সেটা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি।
দীপিকার এমন তীর্যক মন্তব্যের পর চুপ থাকেননি সিদ্ধার্থও। তিনি পাল্টা বলেছিলেন, আমার যে কোথায় ঘাটতি ছিল, সেটা কোনো দিনই বুঝে উঠতে পারিনি। আমি ওকে বলেছিলাম যে, বাবার যাবতীয় ঋণের বোঝা মিটে গেলে ওর সব টাকা আমি ফিরিয়ে দেব। কিন্তু সে সম্পর্কে থাকতে কোনোভাবেই রাজি ছিল না। পাশাপাশি দীপিকা একজন 'ক্রেজি ফিমেল' বলেও মন্তব্য করেন সিদ্ধার্থ।
এদিকে কোনো বিতর্কে কান না দিয়ে দীপিকা পাড়ুকোন মনোযোগ দিয়ে ঘর সামলাচ্ছেন স্বামী রণবীর সিংয়ের। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর গাঁটছাড়া বাঁধেন তারা। প্রসঙ্গত, এই জুটির আগামী সিনেমা '৮৩'। কবির খানের পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমাটি আগামী বছরের মার্চে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।