মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্রে ন্যাটো কীভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার মিত্রদের পরাজিত করতে পারত, সে সম্পর্কে বহু আলোচনা রয়েছে যা সৌভাগ্যক্রমে কখনও ঘটেনি। কৌশলগতভাবে ন্যাটোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হ’ল তার জোটের ধ্বংস রোধ করা। এর জন্য আকাশসীমায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন এবং বজায় রাখা, উত্তর আমেরিকার জন্য সমুদ্র পথে যোগাযোগ উন্মুক্ত রাখা, পশ্চিম জার্মানির আঞ্চলিক অখন্ডতা বজায় রাখা এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার এড়ানোর মতো ৪টি মূল লক্ষ্য রয়েছে ন্যাটোর। এ ৪ লক্ষ্যের যেকোনো একটি ব্যর্থ হলে ন্যাটো সম্ভবত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে পারবে না।
একটি গোপন পরিকল্পনা অনুসারে, ৭ দিনের মধ্যে ন্যাটোকে ধুলিস্যাত করার জন্য এবং সোভিয়েত মিত্রদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার মূল বিবেচ্য ছিল এবং পরিকল্পনাটি একটি শীর্ষ পর্যায়ের গোপন সামরিক ছায়া মহড়ার অংশ ছিল যা ১৯৭৯ সালে ন্যাটোর কাছ থেকে অল্প সময়ে কী পরিমাণ সম্পদ অর্জন করা যায়, তা নির্ধারণ করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল। এ পরিকল্পনার কোনো বাস্তব অনুশীলনে না ঘটলেও প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম দেশ পোল্যান্ড ২০০৫ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর এ সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ করে। ব্রিটিশ ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকা জানিয়েছে, দেশের কমিউনিস্ট অতীতের সীমারেখা টানতে এবং পোলিশ জনগণকে পুরাতন শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার উদ্দেশ্যে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
এ ছায়া অনুশীলন পরিকল্পনাটি ‘রাইন নদীর পথে সাত দিন’ হিসাবে পরিচিত ছিল। পরিকল্পনার মানচিত্রে ইউরোপের কতটা অংশ বিনষ্ট করা যেতে পারে তা তুলে ধরা হয়েছিল। তৎকালীন জার্মানির রাজধানী বন-এর পাশাপাশি ফ্র্যাঙ্কফুর্ট, কোলন, স্টুটগার্ট, মিউনিখ এবং হামবুর্গকেও এর লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এছাড়াও, ন্যাটোর রাজনৈতিক সদর দফতর, পাশাপাশি ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং উত্তর ইতালির শহরগুলোও সোভিয়েতের টার্গেটে ছিল। যদিও এতে প্রত্যাশিত ছিল যে, প্রত্যুত্তরে ন্যাটো সম্ভবত প্রাগ এবং ওয়ারশ ধ্বংস করে দেবে। পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল, ফ্রান্স ন্যাটোর মূল কাঠামো সদস্য না হওয়ায় এমন আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারত। যুক্তরাজ্যও পারমাণবিক ধ্বংসের মুখোমুখি হত না। অস্ট্রিয়া এবং যুগোসøাভিয়া নিরপেক্ষ থাকার কারণে সম্মুখ সমরের বেশিরভাগ অংশই জার্মানিতেই ঘটতো।
পরিকল্পনার লক্ষ্যটি ছিল স্বল্পতম সময়ের মধ্যে রাইন নদীতে পৌঁছানো, যা ন্যাটোর বিজয়কে প্রায় অসম্ভব করে দিত। ফ্রান্স যাতে সাড়া না দেয় তা নিশ্চিত করার জন্য, আরও সাত দিনের মধ্যে স্প্যানিশ সীমান্তে চাপ সৃষ্টি করার জন্য দ্বিতীয় আক্রমণের এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ছিল, যদি কখনও তা সত্যিই ঘটতো। তবে ওয়ারশ চুক্তির সব দেশ আপাতদৃষ্টিতে অতি কল্পিত আক্রমণ পরিকল্পনাতে ছিল না। চেকোসেøাভাকিয়ার সেনাবাহিনী বলেছিল যে, এটি অনেক বেশি আশাবাদী পরিকল্পনা। যদিও ছায়া অনুশীলনটির লক্ষ্য ছিল সম্পূর্ণ পারমাণবিক ধ্বংস এড়ানো এবং শান্তি চুক্তিতে শক্ত অবস্থানে থাকা, তারপরেও এটি ফ্রান্সের কৌশলগত পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া বা এমন অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছিল, যেগুলো একটি নিশ্চিত সোভিয়েত জাগারনেটকেও দমিয়ে দিতে পারে।
এ ধরনের উচ্চাভিলাষী একটি পরিকল্পনা জেমস বন্ডের অক্টপুসি চলচ্চিত্রের চক্রান্তের পটভ‚মি ছিল। তবে এমনকি চলচ্চিত্রেও ক্রেমলিনের অন্যান্য নেতা চরিত্র এটিকে উন্মাদনা হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে পুরো বিশ্বের জন্য এ কল্পনা বাস্তব রূপ নেয়ার আর কোনো সুযোগ পায়নি। সূত্র : দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।