Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উচ্ছেদ আতঙ্কে এলাকাবাসী

কুমিল্লায়-নোয়াখালী মহাসড়ক

ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক চার লেন মহাসড়কের কুমিল্লা লালমাই উপজেলার কেন্দ্রস্থল বাগমারা বাজারের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও সড়ক লাগোয়া স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ কয়েকশ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের মাঝে দেখা দিয়েছে উচ্ছেদ আতঙ্ক। এসব স্থাপনা রক্ষার দাবিতে বাজারের ব্যবসায়ী, সড়কের লাগোয়া শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ এলাকাবাসী কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামালসহ সওজ’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা এসব স্থাপনা রক্ষার জন্য বর্তমান সড়কটি দুই লেন এবং বাজারের পূর্ব পাশে সরকারি জায়গা সমন্বয়ে সওজ কর্তৃপক্ষের সার্ভে করা নকশা অনুযায়ী দুই লেনের বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবি জানান।
সরেজমিন ঘুরে ও স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর থেকে ২ হাজার ১৭০ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। এ সড়কটি জেলার লালমাই উপজেলার শতবর্ষের ঐতিহ্যের বাগমারা বাজারের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে।
সড়কের দুইপাশে বাজারের শত শত স্থাপনা রয়েছে।
লালমাই উপজেলার কেন্দ্রস্থল বাগমারা বাজার ঘিরে ওই এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িকসহ সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। এছাড়া এ সড়ক ঘেঁষে রয়েছে ২টি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি কলেজ, ৩টি মাদরাসা, ৩টি প্রাচীন মসজিদ, ২টি মন্দির, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা, প্রায় অর্ধশত একতলা থেকে ৫তলা বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন, টিনশেড আধাপাকা দোকানসহ কয়েকশ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এদিকে বাজারের উপর দিয়ে চারলেন মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে এমন খবরে এখন ওই এলাকায় উচ্ছেদ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গতকাল দুপুরে কথা হয় স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারী আবদুল বারী মজুমদার, সুরেশ চন্দ্র সূত্রধর, ডা. সফিকুর রহমান মজুমদার, হরে কৃষ্ণ বণিক, সাজেদুল হক ভ‚ঁইয়াসহ ভবন মালিক, ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের সাথে। তারা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাজারের সড়কটি সরু। বাজারের সড়ক প্রশস্থ করে চার লেন করার জন্য দুইপাশের জায়গা এখনো অধিগ্রহণ হয়নি। এ অবস্থায় বাজারের ভেতরের সড়কটি চার লেন করা হলে শিক্ষা-ধর্মীয় ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ ৪ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে এবং এতে অসংখ্য লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কিন্তু বাজারের পূর্বপার্শ্ব দিয়ে সওজ কর্তৃপক্ষের সার্ভে অনুযায়ী সরকারি জায়গা সমন্বয়ে দুই লেনের বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হলে এসব স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।
তাই স্থাপনাগুলো রক্ষার জন্য বাজারের পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে দুই লেনের একমুখী বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবিতে আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রীসহ সওজ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। এ বিষয়ে সওজ-কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাজারের পূর্ব পার্শ্বে বাইপাস সড়ক নির্মাণের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্ছেদ

১৮ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ