প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউডের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাউত। সুশান্তের মৃত্যুর পর নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তিনি। একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে নতুন নতুন আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছেন। তার সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসাও করছেন অনেকেই। আবার কারো কারো কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন বিষ দাঁতের মতো।
সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় কঙ্গনা লিখেছেন, 'মুম্বাইকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মতো মনে হচ্ছে।' মূলত এরপরেই তোপের মুখে পড়েন নায়িকা। তার এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত তাকে হুমকি দিয়ে বসেন। তার কথায়, মুম্বাই শহরে আপনি আসবেন না কঙ্গনা। পাশাপাশি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়কে আর্জি জানান তিনি।
এখানেই থেমে থাকেননি সঞ্জয় রাউত। শনিবার এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন সঞ্জয় রাউত। সেখানে শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করে অভিনেত্রীকে 'হারামখোর মেয়ে' বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তবে চুপ থাকার পাত্রী নন কঙ্গনা রানাউতও। শিবসেনা সাংসদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন নায়িকা। তিনি বলেন, '২০০৬ সালে আমাকে ডাইনি বলা হয়েছিলো, ২০০৮ সালে পাগল বলেছিলেন এবং ২০২০ সালে এসে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আমাকে 'হারামখোর মেয়ে' বললেন। একটা অপমৃত্যুর পর শুধু বলেছিলাম, মুম্বাইয়ে থাকতে নিরাপদ বোধ করছি না। তাই এমন কথা শুনতে হলো।'
তবে শুধু কঙ্গনা একাই নন, শিবসেনা নেতার 'হারামখোর' শব্দ ব্যবহারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বলিউডের একাংশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছেন দিয়া মির্জা, নানা পাটেকার, রণবীর শোরে, নির্মাতা অনুভব সিনহা সহ অনেকেই। এমনকি ওই নেতাকে এমন কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।