মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্যানসার চিকিৎসায় মৌমাছির বিষ নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে যে, এই বিষে হাজার হাজার রাসায়নিক উপাদানের মিশ্রণ রয়েছে, যা ক্যানসারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। এগুলোর মধ্যে মানুষের চিকিৎসার জন্য অল্প কিছুই উৎপাদন করা যেতে পারে। এর আগেও মৌমাছির বিষ নিয়ে গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, এতে ত্বক ক্যানসার তথা মেলানোমা নিরোধক বিরোধী উপাদান রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন যে মৌমাছির বিষ স্তন ক্যানসারের আগ্রাসী কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম। এই বিষে থাকা মেলিটিন নামের উপাদান ব্যবহার করে ট্রিপল নেগেটিভ ও এইচইআর২ নামে দুই ধরনের স্তন ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছেন তারা।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কারকে ‘রোমাঞ্চকর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং আরও গবেষণার প্রয়োজন মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি পারকিন্স ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল রিসার্চে এবারের গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছির বিষ স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায়ও কার্যকরী। এই নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা বিষয়ক জার্নাল নেচার প্রিসিসন অনকোলোজিতে প্রকাশিত হয়েছে। মরণঘাতী ক্যান্সারের মধ্যে স্তন ক্যান্সার অন্যতম। বিশ্বজুড়ে নারীদের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে এই ক্যান্সারের প্রকোপ। এতে আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যানসার বা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে শতকরা ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
এদিকে গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, আর্থারাইটিসে ভোগা বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষের জন্য এই চিকিৎসা পদ্ধতি নতুন আশার আলো হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানান, মৌমাছির বিষ থেকে নেয়া পেপটাইড দিয়ে ক্ষুদে ন্যানো ন্যানোকণিকা তৈরি করেছেন গবেষকরা। মেলিটটিন নামের এই পেপটাইডে রয়েছে প্রদাহ-নাশক শক্তিশালী ক্ষমতা। যাতে দেহের তরুণ অস্থি ধ্বংস ঠেকানো সম্ভব হবে।
সাধারণত মৌমাছি হুল ফোটানোর পর তীব্র যন্ত্রণা হয়। মৌমাছির বিষের কারণেই এমনটি হয়। এই বিষ নিরাপদে সরাসরি মানব শরীরে ঢোকানোর পথ পাওয়া যাচ্ছিল না। কারণ দেহে ঢোকানোর পর তা তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তবে ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।