প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে। এতদিন অভিনেতার মৃত্যুর প্রধান অভিযুক্ত রিয়া হলেও, এবার অভিযোগের আঙ্গুল ঘুরে পরিবারের দিকে যাচ্ছে! সম্প্রতি এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে অনেকটাই স্পষ্ট যে, সুশান্তের মানসিক অবসাদের কথা জানতেন তার পরিবারও। তাই তাদের দাবির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদির দাবি, রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার অনেক আগে থেকেই মাদক সেবন করতেন সুশান্ত। আর সেটা তার পরিবারের সদস্যরাও জানতেন। এমনকি গেল নভেম্বরে তার তিন বোন মুম্বাইয়ে এসেছিলেন, তখন অশান্তির কারণে সুশান্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।'
শ্রুতি মোদির এমন দাবিতে ঘি ঢেলেছে গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যেখানে সুশান্তের বোন প্রিয়াঙ্কা তাঁকে লিব্রিয়াম ক্যাপসুল, নেক্সিটো ১০ এমজি এবং খুব প্রয়োজনে লোনাজেপ ট্যাবলেট খেতে বলেছিলেন। এগুলো উদ্বেগ, অনিদ্রা, প্যানিক ডিসঅর্ডারের মতো রোগের ওষুধ। এই ওষুধ কেনার জন্য দিল্লির এক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনও ভাইকে পাঠান প্রিয়াঙ্কা। ফলে অভিনেতার অসুস্থতার কথা জানতেন তার পরিবার।
এখানেই থেমে থাকেননি শ্রুতি। তার কথায়, রিয়া তার জীবনে আসার আগে থেকেই মাদক নিতেন অভিনেতা। সুশান্তের প্রাক্তন গাড়িচালক তথা দেহরক্ষী সোহেল সাগর তার জন্য মাদক আনতেন। শ্রুতির আইনজীবীর দাবি, সুশান্ত ও রিয়ার আলাদা একটা চ্যাট গ্রুপ ছিলো। যেখানে মাদক নিয়ে কথাবার্তা বলতেন তারা। শুধু তাই নয়, অভিনেতার তিনটা পার্টিতে তার বোনেরা উপস্থিত ছিলেন, আর সেখানে মদের পাশাপাশি সবধরনের মাদকের নেশাও করেছিলেন তারা।
এদিকে ইডির (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদি। সেখানে তার আইনজীবী অশোক সারোগি তার মক্কেল শ্রুতির যেসব বয়ান পেশ করেছেন, তাতে অভিযোগের তীর অনেকটাই প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের দিকেই ঘুরে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।