পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বংশাল এলাকায় মো. বাবু হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ভাঙ্গারি দোকানের জমানো টাকায় নিজের ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘাতক শামীম নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রিকশার স্পোক দিয়ে বাবুর চোখ উপড়ে ফেলেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হলে বাকিদের এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মো. আলী রেজা মামুন জানান, বংশাল থানার নবাব ইউসুফ মার্কেটে গত ১৭ এপ্রিল রাতে মো. বাবুকে (৩৫) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বংশাল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করে। পরবর্তীতে বাবু হত্যার অভিযোগে গত ১১ জুন রাতে মোহাম্মদ নূরে আলমকে হত্যার ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে শামীমসহ তার সহযোগিদের নাম প্রকাশ করেন তিনি। পরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বংশাল থানার নয়াবাজার এলাকা থেকে মো. শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। ইতোমধ্যে বাবু হত্যার দ্বায় স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত শামীম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে নূর আলম ও শামীম কারাগারে রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, নিহত বাবুসহ গ্রেফতারকৃতরা ভাঙ্গারি টুকাইয়ে বিক্রি করতো। তারা ভাঙ্গারি বিক্রির টাকা বাবুর কাছে জমা রাখত। ঘটনার দিন বাবুর কাছে টাকা চাইলে বাবু টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে রিকশার স্পোক দিয়ে বাম চোখে আঘাত করে মেরে ফেলে। হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, নিহত বাবু ও হত্যাকারীরা সারাদিন ঘুরে বিভিন্ন ভাঙারি মালামাল সংগ্রহ করতেন। এগুলো বিক্রি করে সবাই নিজেদের টাকা বাবুর কাছে গচ্ছিত রাখতেন। শামীম ও নুর আলম তাদের গচ্ছিত টাকা বাবুর কাছে চাইলে তিনি দিতে রাজি হননি। এ কারণে চারজন মিলে বাবুকে পিটিয়ে ও চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।