Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ

সংশোধন কেন্দ্রে তিন কিশোর খুন

বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পৈশাচিক নির্যাতনে হত্যাকান্ডে রিমান্ডে নেয়া পাঁচ কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সমাজসেবা অধিদফতরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক সৈয়দ মো. নূরুল বাসির ও উপ-পরিচালক এস এম মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি যশোর এসে কেন্দ্রে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দিদের সাক্ষ্যগ্রহণ গতকাল রোববার শুরু করেছেন।

পুলিশ জানায়, কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ও সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, কারিগরি প্রশিক্ষক ওমর ফারুক, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর এ কে এম শাহানুর আলম ও সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনা পরিস্কার হয়েছে যে, কেন্দ্রের অভ্যন্তরে দফায় দফায় পিটিয়ে ৩ জনকে হত্যা ও ১৫ জনকে আহত করা হয়। তাছাড়া যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত প্রেসব্রিফিংএ তুলে ধরেন। সবমিলিয়ে দিবালোকের মতোই পরিস্কার চার দেয়ালের মাঝে পিটিয়েই বন্দি ৩ কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, বন্দি কিশোরদের অনেক অভিভাবক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের ভেতরে বিভিন্ন সময় নির্যাতন চলে। ঠিকমতো খাবার দেয়া হয় না। ঈদের দিন খিচুড়ি ও গোশত দেয়ার কথা থাকলেও তাদের দেয়া হয়েছে হলুদে রং করা ভাত, ডাল ছিল নামকাওয়াস্তে। আর গোশত ছিল না। হত্যাকান্ডের শিকার রাব্বির মা পারভিন বেগম বলেন, ছেলে মোবাইল করে বলেছিল মা আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। ওরা নির্যাতন করে, ঠিকমতো খেতে দেয় না। কষ্ট দেয়। আমি আর পারছি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ