প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বি টাউনের একসময়ের বহুল চর্চিত জুটি সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রায়। তাদের দু'জনের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি কারোরই অজানা নয়। বাস্তবে তো বটেই, অনস্ক্রিনেও এই জুটির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিলো। হয়তো কেউ কল্পনাও করেননি এই প্রেমিক যুগলের সম্পর্কে চিড় ধরবে, কিন্তু সেটাই হয়েছিলো।
তাদের দু'জনের মধ্যকার সম্পর্ক এতটাই তিক্ত হয়েছিলো যে, সালমান প্রকাশ্যেই অ্যাশকে অপমান করতেন এবং গায়ে পর্যন্ত হাত তোলেন। এমনকি মাঝে মধ্যেই একে অন্যের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়তেন। যেকথা একাধিক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন ঐশ্বরিয়া।
একদিকে সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে, অন্যদিকে ঐশ্বরিয়ার রেপুটেশন কমতে থাকে। ঠিক এমন সময় ভাইজানের সঙ্গে সম্পর্কের পাট চুকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, নিজের সিদ্ধান্তে বেশ কঠোর ছিলেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।
কয়েকদিনের মধ্যেই বলিউড সুলতানের বুঝতে আর বাকি থাকেনা যে ঐশ্বরিয়া সম্পর্ক থেকে সরে যাচ্ছেন। যেদিন এমনটি বুঝতে পেরেছিলেন, ঠিক সেদিন রাতেই অভিনেত্রীর বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সালমান। ওই মুহুর্তে ঐশ্বর্য রীতিমতো ভয় পেয়ে যান।
অ্যাশ জানান, প্রায় দু-তিন ঘন্টা ধরে দরজাতে ধাক্কা দিচ্ছিলেন সালমান। দরজা না খোলায় সে জানায়, তাদের ১৭ তলার উঁচু ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন ভাইজান। এমন কথা শোনার পরও মন গলেনি নায়িকার, তখনও চুপ করেই ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে রাত তিনটার দিকে সালমানের হাত থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। অবশেষে বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। যদিও তার কিছুদিন পরেই তারা দু'জন একে অপরের থেকে আলাদা হয় যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।