নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথমার্ধে নেওয়া লিড লম্বা সময় পর্যন্ত ধরে রাখল আতালান্তা। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা দলটি তখন ইতিহাস গড়ার স্বপ্নে বিভোর। উল্টোদিকে, আসর থেকে বাদ পড়ার ঘোর শঙ্কায় ছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাল্টে গেল সবকিছু। চরম নাটকীয়তায় তিন মিনিটের মধ্যে দুবার নিশানা খুঁজে নিল টমাস টুখেলের দল। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে মার্কুইনহোস সমতায় ফেরানোর পর যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোলটি করলেন বদলি নামা এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং। রোমাঞ্চকর জয়ে সেমিফাইনালে পা রাখল প্যারিসিয়ানরা।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের এস্তাদিও দা লুজে গতপরশু রাতের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আতালান্তাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। নিজেদের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে উঠল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ১৯৯৪-১৯৯৫ মৌসুমে প্রথমবার সেমি-ফাইনালে খেলেছিল তারা।
খেলার শুরু থেকেই একের পর সুযোগ হাতছাড়া করছিল পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ‘পোস্টার বয়’ নেইমার। ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। এরপর এমন মিস করেছেন আরও অনেক। তবু শেষ পর্যন্ত তার ওপর আস্থা রাখেন থমাস টুখেল। এর মধ্যে পিএসজির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে গোলরক্ষক নাভাসের চোট। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার কিছু আগে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন নাভাস।
নেইমার নিজে গোল দিতে পারেননি। তবে ৯০তম মিনিটে তার শট থেকে পাওয়া বল জালে জড়ান মার্কিনিয়োস। চুপো-মোটিংয়ের ক্রস থেকে পাওয়া বল ডি বক্সের মধ্যে পেয়ে জালে জড়াতে ব্যর্থ হন নেইমার। তার শট প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে ফেরার মুখে পান মার্কিনিয়োস। নেইমারের স্বদেশী এই ডিফেন্ডার টোকা দিয়ে বল জাল জড়ান। প্রতিযোগিতায় আগের টানা ৩২ ম্যাচ গোলের দেখা পাওয়া পিএসজিকে এই ম্যাচে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘক্ষণ।
মার্কিনিয়োসের গোলে পিএসজি সমর্থকদের বুক থেকে যেন পাহাড় সমান পাথর সরে। কারণ ১-১ সমতায় ফিরেছে তাদের দল। মিনিট তিনিকের মাথায় আন্তালান্তার বুকে ছুরি চালান বদলি খেলোয়াড় চুপো-মোটিং। নেইমারের বাড়ানো বল ডি বক্সে ঠেলে দেন এমবাপে। বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি পিএসজির ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড।
এর আগে প্রথমার্ধেই গোল ব্যবধানে এগিয়ে যায় আতালান্তা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে যান মারিও পাসালিচ। হাওয়ায় ভাসানো শটে নাভাসকে ফাকি দিতে ভুল করেননি এই মিডফিল্ডার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। আতালান্তার স্বপ্ন গুড়িয়ে দীর্ঘদিন পর ফের ইউরোপ সেরার মঞ্চের সেমিফাইনালে নাম লেখায় পিএসজি।
পিএসজি ২ আতালান্তা ১
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।