প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউড দুই লাস্যময়ী সুন্দরী দীপিকা পাড়ুকোন ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অভিনয় তো বটেই, নিজেদের গ্ল্যামার উপস্থিতি দিয়ে অসংখ্য ভক্তদের হৃদয় কেড়েছেন এই দুই তারকা। তবে শুধু বাস্তবেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাদের অনুরাগীদের সংখ্যা আকাশছোঁয়া। আর তাতেই সন্দেহের দানা বাঁধে মুম্বাই পুলিশের। র্যাপার বাদশার পর এবার পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের নজরদারিতে দীপিকা-প্রিয়াঙ্কা।
জানা গিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ফলোয়ার তৈরীর মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে লাখ লাখ টাকা খরচ করেন এই দুই অভিনেত্রী। এই ফলোয়ারের সংখ্যার দৌলতেই তাদের পোস্টে লাইক ও ভিউ হু হু করে বেড়ে যায়। যার প্রভাব সরাসরি পড়ে এদের ব্র্যান্ড এনডর্সমেন্টের উপরে।
ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইন্সটাগ্রামে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ফলোয়ারের সংখ্যা ছয় কোটির কাছাকাছি। আর দীপিকার পাঁচ কোটির সামান্য বেশি। ২০১৯ সালে ইন্সটাগ্রামের প্রভাবশালী তারকাদের তালিকায় দেশি গার্ল ভারতীদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন।
তবে হঠাৎই ফেক প্রোফাইল নিয়ে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের উঠেপড়ে লাগার কারণ কি? এমন প্রশ্নই এখন চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর নেপথ্যে দু'টি কারণ হতে পারে। একটি গত বছর র্যাপার বাদশার মিউজিক ভিডিও 'পাগল হ্যায়' মুক্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৭ কোটি ২০ লাখ ভিউ হয়, যা রেকর্ড। এটি টেলর সুইফট বা বিটিএস-এর মতো ব্যান্ডের রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়।
অন্য কারনটি হলো, তারকাদের উপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত যে ট্রোলিং হয়, তা নিয়েও অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে মুম্বাই পুলিশের কাছে। সেসব অভিযোগের তদন্ত করে গিয়ে দেখা গিয়েছে, যেসব আইডি দিয়ে ট্রোলিং করা হয় তার মধ্যে অধিকাংশ আইডিই ফেক। সেই ধারাবাহিকতায় ক্রাইম ব্রাঞ্চের তালিকায় এবার নাম উঠে এসেছে দীপিকা ও প্রিয়াঙ্কার। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি তাদের দু'জনের কেউই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।