Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুসলিমদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো অবহেলিত

গ্রিসে ১০ হাজার মসজিদকে বানানো হয়েছে নাইট ক্লাব, থিয়েটার ও বিনোদনকেন্দ্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

গ্রিসে এক সময় ছিলো মুসলিমদের ঐতিহ্য আর অহংকারের সব স্থাপনা। কিন্তু উসমানী শাসনামলের পতনের পর থেকে সেখানে অনেক মসজিদ হয়েছে নাইট ক্লাব থিয়েটার ও বিনোদনকেন্দ্র। এক কথায় বলা যায় গ্রিসে মুসলিমদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো এখন অপমানজনক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। নবায়নের নামে কিছু মসজিদ পরিণত করা হয়েছে চার্চে। অনেক মসজিদ পরিণত করা হয়েছে নাইট ক্লাব, থিয়েটার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদনকেন্দ্রে। গ্রিসে উসমানী শাসনামলের ১০ হাজারের বেশি ইসলামী স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে। আয়া সোফিয়াকে নামাজের জন্য খুলে দেয়ায় গ্রিসের সমালোচনার জেরে অনেকেই দেশটিতে অবস্থিত উসমানী স্থাপনাগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ১৪৬৮ সালে গ্রিসের থেসেলোনোকিতে হামজা বে মসজিদটি শুধু নামাজের জন্য ব্যবহৃত হতো। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের কয়েক বছর পর মসজিদের মিনার ভেঙে ফেলা হয়েছে। মিনারের কারুকাজ এবং ম‚ল্যবান পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। ধ্বংস করে দেয়া হয় কাঠের মিম্বার। ১৯২৭ সালে গ্রিসের ন্যাশনাল ব্যাংকের মালিকানায় আসার পর মসজিদটি বিক্রি করে দেয়া হয়। সেখানে বানানো হয় দোকান ও সিনেমা। ১৯৮০ পর্যন্ত মসজিদটি হল হিসেবে ব্যবহার হয়। লোননিনা প্রদেশের নাদরা অঞ্চলের ফায়েক পাশা মসজিদও গির্জায় পরিণত করা হয়। ১৯৭০ সালে মসজিদটিকে বানানো হয় বিনোদনকেন্দ্র। বর্তমানে মসজিদটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। একইভাবে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সসহ সারা দেশের গুরুত্বপ‚র্ণ শহরগুলোর মসজিদগুলো পরিত্যক্ত। উসমানী শাসনের পরে রাজধানী এথেন্সের সবচেয়ে পুরনো মসজিদটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতো। যার মধ্যে সেনাবহিনীর কারাগার এবং স্টোররুম হিসেবে ব্যবহার করার মতো ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। ডেইলি সাবাহ।



 

Show all comments
  • উবাইদ ২১ জুলাই, ২০২০, ৯:৩৬ এএম says : 1
    ইনশাআল্লাহ এগুলো আবার উদ্ধার হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মিজানুর রহমান ২৩ জুলাই, ২০২০, ১:৩৯ পিএম says : 1
    আল্লাহর রহমতে, শয়তানে রাজত্ব শেষে আবারও মুসলিম জনতা জেগে উঠবে। আবার মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইনশাল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুসলিম


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ