পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেমিকের দেয়া মোবাইল নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলায় থাকা ওড়না দিয়ে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে হত্যা করেছে মা। এ ঘাতক মাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গত রোববার গভীর রাতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিনোদনগর ইউনিয়নের বড় মাগুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ঘাতক মোছা. রহিমা বেগম (৪৩) উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের বড় মাগুড়া গ্রামের মো. বুলু মিয়ার স্ত্রী। নিহত মোছা. ফাতেমা (১৪) ওই এলাকার বিনোদনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় বিনোদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বলেন, মায়ের সাথে নানা বাড়িতে বেড়াতে যায় ফাতেমা। সেখানে এক ছেলে তাকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দেয়। গত রোববার সকালে বাড়ির পাশে আমগাছ থেকে আম নামানোর সময় মেয়ে ফাতেমার কোমরে একটি মোবাইল দেখতে পান মা রহিমা বেগম। পরে মেয়েকে মোবাইলের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়ে ফাতেমা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনার পর রহিমা বেগম ফোনটি নিয়ে ঘরের শোকেসে তালাবদ্ধ করে পাশের গ্রামে বড় মেয়ের বাড়িতে চলে যান। ফিরে এসে শোকেসের তালা ভাঙা দেখে মেয়ে ফাতেমাকে আবারও জিজ্ঞেস করলে সে কোনো উত্তর দেয়নি। এরপর মা-মেয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়ের গলায় থাকা ওড়না ধরে টান দিলে সেখানেই ফাতেমা মারা যায়।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি অশোক কুমার চৌহান বলেন, এলাকাবাসীর দেয়া খবরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাত ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার এবং মা রহিমা বেগমকে আটক করে থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজ মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।