প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যজনক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা ভারত। বরিবার (১৪ জুন) বান্দ্রার কার্টার রোডের নিজ বাড়িতে এই অভিনেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই মৃত্যু 'আত্মহত্যা' বলেই মনে করা হচ্ছে। তাদের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার জন্যই তার মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি থেকে সন্দেহজনক কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তারা পৌঁছাতে পারছে না বলেও জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
এদিকে, অভিনেতার মৃত্যুর খবরে গণমাধ্যমে তার মামা আরসি সিং বলেছেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়, সুশান্ত এমনটা করতেই পারে না। ঘর থেকে কোনো সুসাইড নোট উদ্ধার না হওয়াতে সন্দেহ আরও বেড়ে গিয়েছে তার।
তিনি এও বলেন, এটা হত্যা মামলা। বিহারের যুব সম্প্রদায় এবং রাজপুত মহাসভা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানান প্রয়াত এই অভিনেতার মামা।
সুশান্তের পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, অবসাদগ্রস্ত হয়ে কোনোভাবেই আত্মহত্যার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না তিনি। এমনকি, কথা বলার সময়ও তার কন্ঠস্বরে তেমন লক্ষণ বোঝা যায়নি বলে জানিয়েছেন অভিনেতার বোন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সুশান্তের মৃত্যুর আগের দিন অর্থাৎ শনিবার (১৩ জুন) বান্দ্রার কার্টার রোডের নিজ ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন তার কয়েকজন বন্ধুরা। আপাতত পুলিশ প্রতিবেশীদের জেরা করছে। এরপর অভিনেতার বন্ধুদের খোঁজ নিয়ে তাদের তলব করা হবে।
আত্মহত্যার তত্ত্বই আপাতত সত্য বলে ধরে নিয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘনীভূত হচ্ছে অভিনেতার আত্মহত্যার রহস্য!
এই অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোক ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। তার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক বার্তা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ, সালমান, অক্ষয় সহ অসংখ্য তারকারা।
সুশান্ত সিং রাজপুত ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি বিহারের পাটনা জেলায় জন্মগ্রহন করেন। পরে পাটনার সেন্ট কারেন উচ্চ বিদ্যালয় এবং দিল্লির হংসরাজ মডেল স্কুলে পড়েন। পরবর্তীতে দিল্লির প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন।
২০০৮ সালে বালাজি টেলিফিল্ম প্রযোজিত 'কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল' ধারাবাহিকে প্রীত জুনেজার এর চরিত্রে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। পরে ২০০৯ সালে 'পবিত্র রিশতা'তে দেশমুখের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কাড়েন তিনি।
এরপর ২০১৩ সালে অভিষেক কাপুর পরিচালিত 'কাই পো চে' সিনেমা দিয়ে বি টাউনে পা রাখেন এই অভিনেতা। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক ব্লকবাস্টার এ দেখা মিলেছে তার। অভিনেতার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে, 'শুদ্ধ দেশি রোমান্স', 'পিকে', 'ডিকেটটিভ বোমকেশ বক্সী', 'কেদারনাথ'-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমাগুলো। তবে ধোনির বায়োপিক 'এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি'তে অভিনয় করে দর্শক জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন তিনি। তার অভিনীত সবশেষ চলচ্চিত্র 'ছিছোড়ে'।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।