Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৈঠক শেষেই সীমান্তে ফের বিশাল সেনাসমাবেশ ঘটাল চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম

গত শনিবার লাদাখের অ্যাকচুয়াল লাইন অফ কন্ট্রোল নিয়ে বিবাদ মেটাতে ভারত ও চীনের মধ্যে শীর্ষ সেনা বৈঠক হয়। পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা চলছে। কিন্তু বৈঠকের কয়েকঘন্টার মধ্যেই আবারো কয়েক হাজার সেনা সমাবেশ ঘটাল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। প্যারাট্রুপ করেই দুর্গম ওই সমস্ত এলাকায় সেনা সমাবেশ করেছে চীন। প্রয়োজনে যাতে ভারী সামরিক যান ও ট্যাঙ্ক ওই এলাকায় পাঠানো যায় সেটা পরীক্ষা করতেই এই সেনা মহড়া বলে দাবি করেছে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, গতকাল রবিবার ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় এই সেনা মহড়া চালিয়েছে পিএলএ। যাতে প্রয়োজন পড়লেই দ্রুত সীমান্ত এলাকায় ভারী যানবাহনসহ বিশাল সেনা জওয়ান পৌঁছে যেতে পারে সেটা দেখে নিতেই এই মহড়া। তবে কোন কোন এলাকায় চীন এই সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
অপরদিকে, ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে আরও আলোচনা চলবে। দ্রুত এই সমস্যা মিটবে না বলেই মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
চীনা সংবাদমাধ্যম বলছে, ওইদিনের সামরিক মহড়ায় বেসামরিক বিমান সংস্থা, বাণিজ্যিক পরিবহন ব্যবস্থা ও রেলের সাহায্যে মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে পিএলএ বিমানবাহিনীর কয়েক হাজার প্যারাট্রুপারকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে দেশের উত্তর-পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের কোনো অজ্ঞাত গন্তব্যে পাঠানো হয়। তাদের সঙ্গেই পাঠানো হয়েছে ট্যাঙ্ক, ভারী সশস্ত্র সামরিক যান এবং বিপুল পরিমাণে সামরিক রেশন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই বিশাল বাহিনী ও সরঞ্জাম গন্তব্যে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে সিসিটিভি চ্যানেল।
এর আগে ১৪ মে লাদাখে একই রকম সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছিল বেইজিং। তখন থেকে সীমান্ত নিয়ে বিরোধের বিষয়টি ফের প্রকাশ্যে আসে।
গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে গ্লোবাল টাইমস জানায়, সীমান্ত অতিক্রম করে রাতের অন্ধকারে শত্রুশিবিরে অতর্কিতে হানা দেয়ার উদ্দেশ্যে ৪৭০০ মিটার উচ্চতায় বাহিনী পাঠিয়েছে পিএলএলের তিব্বত সামরিক ঘাঁটি। সবমিলিয়ে ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ ঘিরে রীতিমতো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।



 

Show all comments
  • ঢাকা বাংলাদেশ ৮ জুন, ২০২০, ৩:৩১ পিএম says : 0
    আসসালামু আলাইকুম করোনাভাইরাস সংকটে অনেক দিন বন্ধ লকডাওনে ছিল কিন্তু এখন হতে যে এরিয়া যে গারামের যে বাডিতে যে ওয়ার্ডে পাবে শুধু সে জায়গায় রেট এবং লকডাওনে রেখে বাকি সব জায়গায় যেখানে নরমেলি অবস্থা আছে সে সব জায়গায় খোলা রাখার আহ্বান কোন অবস্থাতেই বন্ধ যেন রাখা না হয সেজন্য সরকার সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা সহযোগিতা যথাযথ কামনা করছি এরই সাথে সংবাদ মাধ্যমকে ও যথাযথ তথ্য নেযার আহ্বান করছি যেন কোন এলাকা ওয়ার্ডে বেপারে ভূল সংবাদ যেন পরিবেশন করা না হয কারণ বন্ধ রাখলে গরীব নরমেলি পরিবারের আর্থিক সমস্যা দেখা দিলে আমফান তুফান নিসর্গ এধরণের অন্য মুহিত আসতে পারে মসজিদ অফিস আদালত গার্মেনটস ফেকটরি পরিবহন দোকানপাট সব জায়গার ক্ষেত্রে যেখানে পাবে সেখানে বন্ধ রেখে বাকি সব জায়গায় করোনাভাইরাস এর নিয়ম মেনে খোলা রাখার আহ্বান তবে মুদির দোকান পাট রাত আটটা পরযনত খোলা রাখতেই অনুরোধ এতে লাভ হবে তাই বিকাল 5টার পরিবর্তে আটটা পরযনত আগামী 10তারিখ হতে চালু রাখার খোলা রাখার আহ্বান
    Total Reply(0) Reply
  • A R Sarker ৮ জুন, ২০২০, ৪:২৩ পিএম says : 0
    Money hoy India lej gutabe.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ