Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চরম দুঃসময়ে ফ্রান্স : ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৪১৭

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৪:২০ পিএম

১৯৪৫ সালের পর এতোটা খারাপ সময় আর আসেনি ফ্রান্সবাসীর জীবনে। এক দুঃসময় যেন টেনে নিয়ে এলো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩২৮ জনে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৯ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৬৯ জন।

করোনা বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯২। বিশ্বের ৮২ হাজার একশ ৯১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। অপরদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেছে ৩ লাখ ২ হাজার নয়শ ৮৯ জন।

এদিকে দেশটিতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেই (জানুয়ারি-মার্চ) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ কমে গেছে। বাণিজ্যে স্থবিরতার কারণে দেশটি এমন পরিস্থিতির কবলে পড়ল। ব্যাংক অব ফ্রান্স এসব তথ্য জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০১৯ সালে শেষ তিন মাসে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে ০.১ শতাংশ এবং চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের পুরোটাই ছিল নেতিবাচক। ফলে বলাই যায়, দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়ে গেছে।

ফ্রান্সের কেন্দ্রিয় ব্যাংকটির দেওয়া তথ্য মতে, গত মার্চের শেষ দুই সপ্তাহ করোনাভাইরাসের দাপটে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম ৩২ শতাংশ কমেছে। এর আগে ১৯৬৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-মে) এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিল ফ্রান্স। ওই বছরের মে মাসে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হলে অর্থনীতিও স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে সে বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৩ শতাংশ হ্রাস পায়। যদিও বর্তমান সময়ে তুলনায় সেটা কম।

তবে করোনাভাইরাসে কারণে প্রতি দুই সপ্তাহের লকডাউনে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.৫ শতাংশ হারে কমছে। এই পরিস্থিতি কতো দূর যেতে পার সেটা এখনই খুব সহজে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ১৭ মার্চ ফ্রান্সে শুরু হওয়া লকডাউন আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জারি থাকবে। তবে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকলে সেটা আরো দীর্ঘ হতে পারে। সবাই কর্মক্ষেত্র ছেড়ে যার যার ঘরে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, যাতায়াত, রেস্টুরেন্ট এবং বাড়িওয়ালারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি মুখে পড়েছেন।



 

Show all comments
  • Md.Akkas ali ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৫:১৯ পিএম says : 0
    আমার ছেলেও ঘরে বন্দী ও নতুন গেছে ওর অবস্থা আল্লাহই ভালো জানেন।ওর হাতে টাকা নাই।আমি খুব টেনশনে আছি।সর্বশেষ দোয়া প্রার্থি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফ্রান্স


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ