পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলো দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন অপরাধীরা। এ ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাতেও ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে অভিজাত এলাকা বনানীতে খুন হয়েছেন মনির হোসেন (১৯) নামের এক যুবক। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনানী এলাকায় সেতু ভবনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল মনির হোসেন নামের এক যুবক। এ সময় কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে পালিয়ে যায় তা এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। এছাড়া বিমানবন্দর সড়ক ও সেতু ভবনের জনাকীর্ণ এলাকায় এমন ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নিহত মনির নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম শিমুলবাড়ী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি রাজধানীর পূর্ব নাখালপাড়া এলাকায় থাকতেন এবং আদাবর এলাকায় আইএসএল নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
বনানী থানার এসআই ফজল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনানী সেতু ভবনের উত্তর পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কে বা কারা মনিরকে ছুরিকাঘাত করে। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহত মনিরে বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতের ক্ষত ছিল বলেও জানান তিনি।
নিহত মনির হোসেনের মামা আমিনুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, গতকাল বিকেলে আদাবর তার অফিস থেকে বের হয়ে মিরপুর ১৪ নম্বরে এক আত্মীয়ের বাসায় যান মনির। সেখান থেকে বাসে করে বনানী আসেন। বনানী থেকে হেঁটে নাখালপাড়া বাসায় ফিরছিলেন। কিন্তু সেতু ভবনের সামনে যাওয়ার পর তাকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরো জানান, মনির গতকাল বেতন পেয়েছেন। বেতনের টাকাও তার পেকটে ছিল। কিন্তু ছিনতাইকারীরা তার পেকেট থেকে তা নিয়ে গেছে। মনির বেতনের টাকা নিয়ে আজ (গতকাল) বিকেলে বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। বাড়িতে গিয়ে সে তার এক আত্মীয়ের বিয়ে অংশ গ্রহণ করার কথা ছিল।
এদিকে, এ ঘটনায় গতকাল নিহতের মামা আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে বানানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ওই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে নাখালপাড়ায় বাসায় ফেরার পথে মনির আক্রান্ত হন। তার সাথে মোবাইলসহ অন্যান্য টুকিটাকি জিনিসপত্র ছিল। তবে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মনিরের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালছে।
জানা যায়, ঢাকার রাজপথে ছিনতাইকারী সক্রিয় রয়েছে। তবে তারা অভিজাত এলাকাগুলোকে ছিনতাইয়ের স্পষ্ট হিসেবে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে উত্তরা, বানানী, গুলশানসহ অভিজাত এলাকায় ছিনতাইসহ অপরাধমূলক নানা কর্মকান্ড চালাচ্ছে তারা। প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অপরাধীদের গ্রেফতার করলেও কয়েক মাস পরই জামিনে বেরিয়ে আবার অপরাধে জড়াচ্ছে তারা। এতে রাজধানীবাসী ও গ্রাম থেকে আসা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশি তৎপরা অব্যহত আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল রাতে ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অনেক দিন ওই এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হঠাৎ করে ওই এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে গেছে। তাবে তা রোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে আমরা কাজ করছি।
ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের ঘটনার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়ন্দারাও মাঠে কাজ করছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।