গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মাদক মামলায় ৭৯ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ‘ইয়াবা সম্রাট’ আমিন হুদা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে মারা গেছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বেলা ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিন হুদার মৃত্যু হয়।
“গত এক বছর ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ছিলেন কার্ডিয়াক পেশেন্ট, আরও কিছু জটিলতা ছিল।”
ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান জেলার।
২০০৭ সালের ২৫ অক্টোবর গুলশানের দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ কেজি ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা তৈরির কাঁচামাল ও রাসয়নিক, যন্ত্রপাতি এবং ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করে র্যাব।
ওই অভিযানেই ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ভাগ্নে এবং এম বি মাল্টিকেয়ার টেকনোলজি লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তা আমিন হুদা ও তার কর্মচারী আহসানুল গ্রেপ্তার করা হয়।
ইয়াবা নামের নেশার বড়িটি যে দেশে ব্যাপকভাবে ছড়াতে শুরু করেছে এবং এর পেছনে যে আমিন হুদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, সে বিষয়টি তখনই বেরিয়ে আসে। আমিন হুদা তখন পরিচিতি পান ‘ইয়াবা সম্রাট’ নামে।
ওই ঘটনায় মাদক আইনে দুটি মামলা হয়। পাঁচ বছর ধরে বিচার চলার পর ২০১২ সালের ১৫ জুলাই আমিন হুদা ও আহসানুল হককে কয়েকটি ধারায় মোট ৭৯ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করে জামিন পেলেও আপিল বিভাগ পরে সেই জামিন বাতিল করে। ২০১৩ সালের জুনে আবার কারাগারে পাঠানো হয় হুদাকে।
এরপর থেকে কারাগারে কাটালেও এর মধ্যে কয়েক দফায় প্রায় তিন বছর সময় আমিন হুদা হাসপাতালে থেকেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।