প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মা আনন্দ শীলাকে নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরি হচ্ছে, অনেক আগেই ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু, শীলার ভূমিকায় কোন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন অনেকেই। প্রথমটায় শোনা গিয়েছিল আলিয়া ভাটের কথা। কারণ, আনন্দ শীলা নিজে চেয়েছিলেন তার চরিত্রে অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট। যার জন্যে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছিলেন তিনি খোদ! তবে সেই ধন্দ দূর করে দিল আমাজন স্টুডিও। জানা গেল, ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়াঙ্কা চোপড়াই হচ্ছেন মা আনন্দ শীলা। দীর্ঘ জল্পনার পর নির্মাতারা প্রিয়াঙ্কাকেই বেছে নিয়েছেন। কিন্তু শুধু মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ই নয়, অন্য ভূমিকাতেও রয়েছেন। যৌথভাবে এই ওয়েব সিরিজের প্রযোজনা করছেন প্রিয়াঙ্কা।
বিতর্কিত আধ্যাত্মিক গুরু রজনীশ ওরফে ‘ওশো’র ব্যক্তিগত সচিব মা আনন্দ শীলার জীবন কাহিনি ভিত্তিক ওয়েব সিরিজ আসছে আমাজন প্রাইমে। সৌজন্যে আমাজন স্টুডিয়োজ। পরিচালকের আসনে রয়েছেন ব্যারি লেভিনসন। ওয়েব সিরিজের নাম ‘শীলা’। এ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘এই ওয়েব সিরিজের আইডিয়ার পুরো কৃতিত্বটাই দেয়া উচিত পরিচালক ব্যারি লেভিনসনকে। এবং মা আনন্দ শীলার চরিত্রে আমায় বেছে নেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ওনাকে। শুধু অভিনয় নয়, আমি এই ওয়েব সিরিজ প্রযোজনাও করছি।’ আনন্দ শীলার মতো একজনের চরিত্রে অভিনয় করাটাও যে বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, নেটফ্লিক্সের ডকুমেন্টরি ‘ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড কান্ট্রি’র সুবাদেই মা আনন্দ শীলার নাম ফের প্রচারের আলোয় আসে। কে ছিলেন এই আনন্দ শীলা? আটের দশক। আধ্যাত্মিক গুরু রজনীশ ওরফে ওশোতে মেতে তখন অনেকেই। হলিউড তারকা থেকে বলিউড তারকা বিনোদ খান্না, অনেকেই ওশোর বাণীতে মুগ্ধ হয়েছিলেন। আর বিনোদ খান্নার তখন এমনই অবস্থা যে কেরিয়ারের মধ্য গগনে তিনি যখন খ্যাতির চূড়ায়, সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে দিয়ে চলে গেলেন ওশোর আশ্রমে। সেই আধ্যাত্মিক গুরু ওশোই জড়িয়ে পড়েছিলেন একাধিক বিতর্কে। যে বিতর্কে তার ভাগীদার হয়েছিলেন একজন স্মার্ট, লাস্যময়ী মহিলা- ‘শীলা’ আম্বালাল প্যাটেল। জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও আমেরিকান-সুইস নাগরিকত্ব রয়েছে তার। যিনি ওশোর ব্যাক্তিগত সচিব হিসেবে হিসেবে কাজ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত মার্কিন মুলুকে রজনীশপুরম আশ্রমের দায়িত্বেও ছিলেন শীলা। একসময় এই শীলার নেতৃত্বেই রজনীশের অনুগামীরা মার্কিন মুলুকের সালাদ বার ও রেস্তোরা গুলিতে বিষ মেশানোর ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিল। যে ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিলেন ৭৫০জন। ১৯৮৪ সালে ওরেগান প্রদেশে বায়োটেরর অ্যাটাকে দোষী প্রমাণিত হন শীলা। যেটা মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম বড় আক্রমণ ছিল। যে ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হন শীলা এবং তার জেল হয়। পরবর্তীকালে পাততাড়ি গুটিয়ে রজনীশ দেশে ফিরে আসলেও জেল থেকে ছাড়া পেয়েই শীলাই আবার ফাঁস করে দিয়েছিলেন রজনীশের অনেক অজানা তথ্য। সেই শীলার ভূমিকাতেই দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়কে। যা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।