গ্র্যামি ২০২০-র মঞ্চে প্রিয়াঙ্কার নেকলাইন হাই স্লিট পোশাক নিয়ে নেট দুনিয়ায় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই প্রিয়াঙ্কাকে অশালীন আক্রমণ করছেন। এবার এবিষয়েই মুখ খুললেন প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া।
প্রিয়াঙ্কা ও তার পোশাক নিয়ে সমালোচকদের জবাবে মধু চোপড়া বলেন, ‘যে সমস্ত লোকজন এধরনের মন্তব্য করে তাদেরকে আদপে কেউ চেনেও না। এনারা শুধু কম্পিউটার স্ক্রিনের মধ্যে নিজেদের লুকিয়ে রাখে। আমার মনে হয় এধরনের সমালোচকদের খুববেশি গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই। ওরা শুধুই গুরুত্ব পাওয়ার জন্যই এমনটা করে।’
মধু চোপড়া আরও বলেন, ‘আমার এই পোশাকটা ভীষণই পছন্দ হয়েছে। ও (প্রিয়াঙ্কা) ওই পোশাক পরার আগে আমাকে দেখিয়েছিল। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এধরনের পোশাক পরাটা একটু বেশিই ঝুঁকি নেওয়া হয়ে যাবে। তবে ও খুব সুন্দর ভাবে ওটা সামল দিয়েছে। প্রিয়াঙ্কার পোশাক নিয়ে আমি ভীষণই খুশি।’
প্রসঙ্গত, গ্র্যামি ২০২০র মঞ্চে রালফ এন্ড রুসো ডিজাইন করা গাউন পরেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। প্রসঙ্গত প্রিয়াঙ্কার গ্র্যামির পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছিলেন এদেশের খ্যাতনামা ফ্যাশান ডিজাইনার ওয়েনডেল রড্রিক্স । তিনি মন্তব্য করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা যে ধরনের পোশাক পরেছেন, সেটা রালফ ও রুসোর ডিজাইন করা হলেও এই বয়সে প্রিয়াঙ্কার শারীরিক গঠনের সঙ্গে পোশাক এক্কেবারেই মানানসই নয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এধরনের মন্তব্যের পর পিগি চপসের ভক্তদের আক্রমণের মুখে পরেন ডিজাইনার ওয়েনডেল রড্রিক্স। পরে অবশ্য তিনি তার মন্তব্য বিষয় বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন।
এদিকে প্রিয়াঙ্কার পোশাক নিয়ে মন্তব্যের পর ওয়েনডেল রড্রিক্স আক্রমণ করেন খোদ মধু চোপড়াও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে বারবার সমালোচনা নিয়ে মধু চোপড়া মন্তব্য করেছিলেন ‘আমি প্রিয়াঙ্কাকে এভাবে বড় করেছি যাতে ও মানসিকভাবে দৃঢ় হয়। ও ওর মত করে জীবনযাপন করছে কারোর কোনও ক্ষতি তো করছে না। ওর জীবন ওর শরীর সবই ওর (প্রিয়াঙ্কা)। তাই সবকিছুই ও ওর মত করেই চালাচ্ছে। আমি ওকে এটাই শিখিয়েছি। আমার মনে হয় এই নীতিই সকলের মনে চলা উচিত।'
প্রসঙ্গত, গ্র্যামির মঞ্চে প্রিয়াঙ্কার পোশাক নিয়ে বিভিন্ন লোকজন বিভিন্নভাবে আক্রমণ করেন। প্রিয়াঙ্কাকে কখনও লাজলজ্জাহীন মহিলা বলে কটাক্ষ করা হয়। আবার কখনও প্রিয়াঙ্কার জন্য ভারতীয় মহিলারা লজ্জা পাচ্ছেন বলেও করা হয় কটাক্ষ। আর এবার প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ওই পোশাক একেবারেই মানানসই নয় বলে করা হল কটাক্ষ।