মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েকদফা বৃষ্টির পরেও থামছে না অস্ট্রেলিয়ার দাবানল। দাবানলের পরিমাণ কিছুটা কমলেও আবার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে দাবানলের পরিমাণ। দাবানলের ফলে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ক্যানবেরা রাজ্য কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেয়।
রাজ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রায় দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক দাবানলের সম্মুখীন অঞ্চলটি। সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলটি জ্বলছে অঞ্চলটির দক্ষিণাংশে। পুড়ছে ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টরের বেশি জমি। ক্যানবেরার শহরগুলোর বাসিন্দাদের যেকোনো সময় সরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
অ্যান্ড্রু বার সতর্ক করে বলেন, অধিক তাপমাত্রা ও প্রবল বাতাসের কারণে দাবানলটি ছড়িয়ে যেতে পারে ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় আগুনটি ক্যানেবেরার পার্লামেন্ট ভবন থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরে টুগেরানং জেলায় জ্বলছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার এসিটির মুখ্যমন্ত্রী অ্যান্ড্রিও বার বলেন, ২০০৩ সালের বিধ্বংসী আগুনের পর সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের সম্মুখীন এসিটি। বর্তমানে এসিটি সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছে এই দাবানল সামলানো।
দুই দশকের মধ্যে এটাই ভয়াবহ অগ্নি সতর্কতা বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানায়, ক্যানবেরার খুব কাছাকাছি দাবানলে এসে পড়েছে। এই বিষয়ে ক্যানবেরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হতে পারে।
শুক্রবার থেকে জারি হওয়া এই জরুরি অবস্থা আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য ক্যানবেরায় জারি করা হয়েছে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়া রাজ্যেও নতুন করে দাবানল ছড়ানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
২০০৩ সালের ভয়াবহ দাবানলের পর এবার আবারো দাবানল মারাত্মক আকার ধারণ করেছে অঞ্চলটিতে। সেখানে প্রায় ৪ লাখ বাসিন্দার বসবাস। এরই মধ্যে সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টরের বেশি জমি পুড়ে গেছে সেখানে। এছাড়া, পুড়ে যায় ৪৭০টি বাড়ি।
এসিটির মুখ্যমন্ত্রী অ্যান্ড্রিও বার সতর্ক করে বলেছেন, দাবানলগুলো নিয়ন্ত্রণ নাও করা যেতে পারে। কেননা, ঝড়ো হাওয়ায় তা ফুসে ওঠছে ও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, জরুরি অবস্থা জারি করায় দমকল কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশি ক্ষমতা পাবে। যতক্ষণ ক্যানবেরা হুমকির মুখে থাকবে, ততক্ষণ এই জরুরি অবস্থা জারি থাকবে।
উল্লেখ্য, ক্যানবেরায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই দাবানল জ্বলে চলেছে। গত বৃহস্পতিবার দাবানল বেশি নিকটে চলে আসায় শহরটির বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।