মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিনজন মুসলিম যাত্রীর সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ডেল্টা এয়ারলাইন্সকে গত শুক্রবার মার্কিন পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। এর সম্মতি আদেশে বিভাগ জানিয়েছে যে, ডেল্টা ‘বৈষম্যমূলক আচরণে জড়িত’ এবং তিন যাত্রীকে অপসারণ করার সময় বৈষম্য বিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে।
২০১৬ সালের ২৬ জুলাই একটি ঘটনায়, প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দরে ডেল্টা ফ্লাইট ২২৯ থেকে এক মুসলিম দম্পতিকে অপসারণ করা হয়েছিল, যখন একজন যাত্রী বিমানের এক কর্মীকে বলে যে, তাদের আচরণ তাকে ‘অত্যন্ত অস্বস্তিকর এবং উদ্বিগ্ন’ করে দিয়েছে।
‘মিসেস এক্স’ মাথায় একটি স্কার্ফ পরে ছিলেন এবং যাত্রী বলেছিল যে, ‘মিস্টার এক্স’ তার ঘড়ির মধ্যে কিছু ঢুকিয়েছে।
ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট বলেছিলেন যে, তিনি মি. এক্সকে তার মুঠোফোনে ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করে টেক্সট করতে দেখেছেন বেশ কয়েকবার। এরপরে ক্যাপ্টেন ডেল্টার কর্পোরেট সিকিউরিটির সাথে কথা বলেন, যিনি বলেছিলেন যে, মার্কিন নাগরিক মিস্টার এবং মিসেস এক্স দেশে ফিরছিলেন এবং সেখানে ‘কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না’। তবে ক্যাপ্টেন তাদের বিমানটিতে পুনরায় প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকার করেন।
পরিবহন অধিদফতর বলেছে যে, ক্যাপ্টেন ডেল্টার নিরাপত্তা প্রোটোকলটি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং দৃশ্যত ‘তবে মি. এবং মিসেস এক্স-এর প্রতিপালিত ধর্মের জন্য, ডেল্টা তাদের ফ্লাইট থেকে সরিয়ে নেয়নি বা পুনরায় বিমানে ওঠাতে অস্বীকার করা হয়নি’।
আদেশে অন্তর্ভুক্ত দ্বিতীয় ঘটনায় আরেক মুসলিম যাত্রী জড়িত যিনি ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই আমস্টারডাম থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ফ্লাইট ৪৯-এ যাত্রা শুরু করেছিলেন। অন্যান্য যাত্রী এবং বিমানের অ্যাটেন্ডেন্টরা তাকে নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তবে ফার্স্ট অফিসার তার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখেনি এবং ডেল্টা সিকিউরিটি বলেছে যে, ‘মি. এ’র রেকর্ডে ‘কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই’।
ক্যাপ্টেন বিমানটি টেকঅফের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন, তবে তারপরে দরজায় এসে মি. এ-কে সরিয়ে নিয়ে তার সিটে তল্লাশি চালানো হয়।
পরিবহন বিভাগ বলেছে যে, ক্যাপ্টেন ডেল্টার সিকিউরিটি প্রোটোকল অনুসরণ করেননি এবং ছাড়ের পর মি. ‘এ’র ‘অপসারণ ছিল বৈষম্যমূলক’। ডেল্টা এতে বৈষম্যমূলক আচরণে জড়িত তা অস্বীকার করলেও ‘এই দুটি ঘটনার প্রত্যেকটিই ভিন্নভাবে হ্যান্ডল করা যেত, তা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই’ -আদেশে বলা হয়েছে।
সরকার বলেছিল যে, এই জরিমানাটি ‘ডেল্টা এবং অন্যান্য ক্যারিয়ারের ভবিষ্যতের অনুরূপ অবৈধ অনুশীলনের বিরুদ্ধে একটি শক্ত প্রতিবন্ধকতা প্রতিষ্ঠা করবে’। ২০১৬ সালের জুলাই মাসের ঘটনা দুটির পর ডেল্টা বলেছিল যে, সন্দেহজনক ক্রিয়াকলাপ তদন্তের জন্য এটি আরও সহযোগিতামূলক ও কার্যকর করার জন্য তার পদ্ধতি পর্যালোচনা ও বর্ধিত করেছে’। সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।