পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সাবুল ইসলাম (৪৬) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। গত শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। তার লাশও নিয়ে গেছে বিএসএফ। অন্যদিকে, লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে তামাক ক্ষেত থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে আবু সাঈদ (৩০) নামে এক বাংলাদেশি কৃষককে। হত্যার পর লাশ আবার তামাক ক্ষেতে ফেলে রেখে যায় বিএসএফ। আমাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান : নিহত সাবুল উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের তারাঞ্জুবাড়ী গ্রামের তমিজ উদ্দীনের ছেলে। বিজিবি জানায়, ভোর রাতে সাবুল ইসলামসহ কয়েকজন মিলে পাড়িয়া সীমান্তের ৩৮৭-নং পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় ভারতের বারোঘরিয়া ক্যাম্পের বিএসএফ’র সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে সবাই পালিয়ে গেলেও সাবুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে স্থানীয়রা কাটাঁতারের পাশে লাশ পরে আছে এমন খবর বিজিবিকে জানায়। পরে গুলি চালিয়ে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে বিএসএফকে চিঠি দিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানায় বিজিবি। ৫০ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর হুমায়ুন কবির আরো জানান, ভারতের পুলিশের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। আসন্ন পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহতের লাশ দেশে ফেরত দেয়ার কথা জানিয়েছে বিএসএফ।
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান : শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলার বুড়িমারী বামনদল সীমান্তের ৮৩৭ নম্বর মেইন পিলার থেকে লাশটি উদ্ধার করে ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত আবু সাঈদ পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল গ্রামের বেনজির রহমানের ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, ওই সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে তামাক ক্ষেতে কাজ করছিলেন আবু সাঈদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় চোরাকারবারী সন্দেহে বিএসএফ তাকে মারধর করে বিদ্যুতের পিলারের কাছে ফেলে রেখে চলে যায়। এতে তার মৃত্যু হলে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহত আবু সাঈদের বাবা বেনজির রহমান অভিযোগ করে বলেন, সীমান্তের তামাক ক্ষেত থেকে তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ আবার তামাক ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার আবুল হোসেন বলেন, নিহতের লাশ এলে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাটগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মহন্ত জানান, ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।