প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ইংরেজির দাপটে বর্তমানে প্রতিটি ভারতীয় ভাষার অবস্থাই শোচনীয়। বিদেশি ভাষায় ছেলেমেয়েকে শিক্ষিত করার তাগিদে বাবা মায়েরা ভুলেই যায় মাতৃভাষা শেখাতে। হিন্দি দিবসের দিন একথাই মনে করাতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। আর তা করতে গিয়েই ঘেঁটে ফেললেন তিনি। হিন্দিকে সরাসরি ‘রাষ্ট্রভাষা’ আখ্যা দিলেন অভিনেত্রী। তারপর থেকে নেটদুনিয়ায় সমালোচনার ঝড়।
১০ জানুয়ারি ছিল ‘হিন্দি দিবস’। এই দিনই কঙ্গনার একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। আসলে ‘পাঙ্গা’ ছবির প্রোমোশনাল ভিডিও এটি। ভিডিওয় কঙ্গনা ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার মধ্যে তুলনা করতে শুরু করেন। তখনই কঙ্গনা বলেন, হিন্দি ভারতের ‘রাষ্ট্রভাষা’। কিন্তু ‘রাষ্ট্র’ এই ভাষায় কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করে। ‘এবিসিডি’ যে আত্মবিশ্বাসের সাথে বলা হয়, ‘কখগ’ বলার সময় কোথায় থাকে সেই আত্মবিশ্বাস? ইংরেজিতে দুর্বল হলে লজ্জার সীমা থাকে না। কিন্তু হিন্দির ক্ষেত্রে দুর্বলতা কোনো ব্যাপারই নয়। ভাষার নিরিখেই সমাজে মানুষের অবস্থান স্থির হয়। ট্যালেন্টের পরিচিতিও হয় ভাষা দিয়েই।
কঙ্গনা এরপর ভিডিওয় নিজের কথা তুলে ধরেন। জানান, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হিন্দি বলার জন্য তাঁকে নিয়ে মজা করা হত, তাঁর সমালোচনা হত। কিন্তু এসবের মধ্যে থেকেই কঙ্গনা হিন্দিকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। কিন্তু তারপরও তিনি আজ সফল অভিনেত্রী। তাই বাবা-মায়ের কাছে কঙ্গনার অনুরোধ, যেভাবে দেশি খাবার তাঁরা ছেলে-মেয়েদের খাওয়ান, সেভাবেই যেন হিন্দি ভাষাও শেখান। ‘মা’ শব্দের মধ্যে যে আন্তরিকতা আছে, তা ‘মম’-এর মধ্যে নেই।
এসবই ঠিক ছিল। কঙ্গনা খুব একটা ভুল বলেননি। কিন্তু হিন্দিকে ‘রাষ্ট্রভাষা’ বলাটাই তাঁর ভুল হল। নেটদুনিয়ায় শুরু হল সমালোচনার ঝড়। নেটিজেনরা বলতে শুরু করেছেন, ভারতে যে কোনও রাষ্ট্রভাষা নেই, তা বোধহয় কঙ্গনা জানেন না। কেউ তো তাকে ‘পড়াশোনা’ করার পরামর্শও দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।