বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের অন্যতম গ্যাসফিল্ড টেংরা টিলা। গ্যাসের সন্ধানে খনন করতে গিয়ে ঘটে অগ্নিকান্ড। আগুনের ১৫ বছরেও থামেনি গ্যাসের চাপ। বুদবুদ করে গ্যাস বের হলেও তা বন্ধের নেই কোন উদ্যোগ। ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি আগুনের সূত্রপাত ঘটে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে টেংরাটিলা, ভুজনা, কালিকাপুর, আজবপুর, নুরপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
এসব এলাকার জনগণ দিনের পর দিন নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০০৫ সালে কয়েক দফায় অগ্নিকান্ডের ফলে টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত মাটি ফেঁটে বুদবুদ করে গ্যাস বের হয়ে পরিবেশ দূষণের সাথে বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা। এতে ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয়। গ্যাসফিল্ড থেকে কি পরিমাণ গ্যাস প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে তা মাপার জন্য ৫টি মিটার স্থাপন করেছে বাপেক্স। এভাবে গ্যাস বের হতে থাকলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাথে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় অযতেœ অবহেলায় পড়ে রয়েছে। গ্যাসফিল্ডের যন্ত্রপাতিগুলোয় মরীচিকা ধরেছে। ভেতরে বন জঙ্গল অবস্থা বিরাজ করছে। গ্যাসফিল্ডে কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ড ছাড়া কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যে কর্মকর্তারা এসে আবার চলে যান। ২০০৪ সালে তৎকালীন সরকারের কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর সাথে চুক্তির মাধ্যমে গ্যাসফিল্ডটির কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছুদিন পরে আগুন লাগলে গ্যাসফিল্ডটি অকেজো হয়ে যায়। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ গ্যাসফিল্ডটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। গ্যাসফিল্ডটি বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তান পেট্টোলিয়াম লিমিটেড ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম লিমিটেড হিসেবে নামকরণ করা হয়।
টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বজলুল মামুন বলেন, টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডে আগুনের কারণে এলাকার মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে কাঠাল বাগান, আনারস বাগান, লিচু বাগান, ধ্বংস হয়েছে মাছের পুকুর। পরিবেশ দূষণ ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়ে মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
টেংরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডে আগুনের ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও জীবনের ঝুঁকি রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বাপেক্স কর্মকর্তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।