বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাইকোর্টের নির্দেশের পরও চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন বাজার থেকে প্রত্যাহার হয়নি নিম্নমানের ৫২ পণ্য। ফলে সারাক্ষণ ভ্রাম্যমাণ আদালত বা বিএসটিআইয়ের অভিযানের আতঙ্কে ভুগছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারী ধরনের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে সচেতন ক্রেতাদের অনেকেই পণ্যগুলো কিনছে না বলেও জানা গেছে। কিন্তু কোম্পানীগুলো মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে থাকা যুবকরা পণ্য বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।
জানা গেছে, গ্রামের মানুষ নামিদামী কোম্পানীগুলোর পণ্য যে নিম্নমানের তা বুঝেই না। তারা আগের মতোই পণ্যগুলো ক্রয় করছে। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার তের ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বাজার সরেজমিন পরিদর্শন করে এ তথ্য জানা গেছে। শুধু চৌদ্দগ্রাম নয়, কুমিল্লাসহ সারাদেশেই একই অবস্থা বলে মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে থাকা যুবকরা জানায়।
চৌদ্দগ্রাম বাজার, মুন্সিরহাট বাজার, মিয়াবাজার, কাশিনগর বাজার, ধোড়করা বাজার ও গুণবতী বাজার পরিদর্শন দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা পণ্যগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। আতঙ্কে ভুগছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের। কারণ পণ্যগুলো বিক্রি করে যে লাভ হবে, ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার চেয়ে বেশি জরিমানা করা হবে। অনেকে অভিযোগ করেন, কোম্পানীগুলো পণ্যগুলো নিয়ে কোন সুরাহা না করেই বাজারজাত অব্যাহত রেখেছে।
চৌদ্দগ্রাম বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মাহবুল হক পাটোয়ারী বলেন, সারাদেশের বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীদের কয়েকশ কোটি টাকা মুল্যের ওই ৫২ পণ্য রয়েছে। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন, কখন যে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে জেল-জরিমানা করে। আবারও সচেতন ক্রেতারাও পণ্যগুলো কিনছে না। এখন ব্যবসায়ীরা পণ্যগুলো কি করবে সেটাও কোম্পানীগুলো কিছু বলছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, কোম্পানীগুলো ডিলার বা এজেন্টদের সাথে সমন্বয় করে বিষয়টির সুরাহা করলে ভালো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।