প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অভিনেত্রী হিসেবে দীপিকা পাড়ুকোনকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। কিন্তু প্রযোজক হিসেবে তিনি নতুন। তার প্রযোজিত ছবির নাম ‘ছপাক’। যেটির প্রচারণায় গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন এই বলিউড অভিনেত্রী।
‘ছপাক’-এর ট্রেলার থেকে টাইটেল ট্র্যাক লঞ্চ পর্যন্ত সব ক’টি অনুষ্ঠানেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দীপিকা। ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে তিনি এতটাই বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন যে, তাকে সামলাতে পরিচালক মেঘনা গুলজার এগিয়ে আসেন। ছবির প্রচারে কোনো চরিত্রের জন্য এতটা ইমোশনাল হতে বোধহয় খুব কম অভিনেত্রীকেই দেখা গেছে। শোনা গেছে, লক্ষ্মী আগরওয়ালের চরিত্র করতে গিয়ে সেটেও অনেক বার ভেঙে পড়েছিলেন নায়িকা। এমনিতে দীপিকাকে যাঁরা ফলো করেন, তারা জানেন জীবনের যে কোনো বিশেষ মুহূর্তের কথা বলতে গেলেই চোখ ভিজে যায় তার। তা স্বামী রণবীর সিংহকে নিয়ে হোক বা বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন।
‘ছপাক’-এর প্রচারেই টেলিভিশনের এক রিয়্যালিটি শোয়ে গিয়েছিলেন দীপিকা। সেখানে তাকে ট্রিবিউট জানিয়ে এক প্রতিযোগী পারফর্ম করেন। তা দেখেও ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। আবেগের এমন আবরণহীন প্রকাশেও সাহস লাগে। বিশেষত যাঁর প্রতিটি মুহূর্তে নজর রাখে হাজার ওয়াটের ফ্ল্যাশলাইট।
মানসিক অবসাদের কথা বলতে গিয়ে দীপিকা ভেঙে পড়েছিলেন টিভির অনুষ্ঠানে। তিনি নিজে ভুক্তভোগী। তাই কঠিন দিনগুলোর কথা সর্বসমক্ষে তুলে ধরা তার পক্ষে নেহাত সহজ ছিল না। কিন্তু সম্পর্কের আগল শক্ত হলে পাশের জনের গভীর ব্যথাও নাড়া দিয়ে যায়। আলিয়া ভট্টের দিদি শাহিন মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে শাহিন একটি বই লিখেছেন। বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে দু’-দু’বার কান্নায় ভেঙে পড়েন আলিয়া। ‘কলঙ্ক’-এর প্রচারে আলিয়ার কত্থকের প্রশংসা করেছিলেন তার সহ-শিল্পী বরুণ ধওয়ন ও সোনাক্ষী সিংহ। সেই কমপ্লিমেন্ট পেয়েও কেঁদে ফেলেছিলেন আলিয়া।
ছবির প্রচারে দীপিকা-আলিয়ার এই মানবিক মুখের বিপরীত মেরুতে অবস্থান কঙ্গনা রানাউতের। তার ছবি ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’র প্রচারেই এক সাংবাদিকের সাথে বচসা বাধে অভিনেত্রীর। দ্বন্দ্ব এতটা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, সাংবাদিকরা একজোট হয়ে কঙ্গনাকে বয়কট করেন। তার পাল্টা একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে কঙ্গনা নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। কেন তিনি ক্ষমা চাইবেন না, তা ব্যাখ্যা করেন সেখানে।
তারকাদের আবেগের আগলহীন প্রকাশে ছবি বাড়তি মাইলেজ পায় কি না, তা নিয়ে তর্ক উঠতে পারে। তবে অভিনেত্রীদের ইমেজ বিল্ডিংয়ে এটা হয়তো সাহায্য করে। অশ্রুভেজা পথে এক হয়ে যান পর্দার এ-পার এবং ও-পারের মানুষেরা। আর প্রযোজক দীপিকার সাথে স্বামি রণবীরের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে গণমধ্যমকে তিনি বলেছেন,
‘ছপাক’ তৈরি হয়েছে তার নিজের প্রযোজনা সংস্থায়। এরজন্য যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, তা একদম দীপিকার নিজস্ব। সেখানে রণবীরের কোনো ভাগ নেই। ছবিটি পরিচালনা করছেন মেঘনা গুলজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।