মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জুরাসিক পার্কের দৌলতে ডাইনোসরের সঙ্গে কম বেশি আলাপ পরিচয় আছে সিনেপ্রেমীদের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং হিংস্র মাংসাশী প্রাণী ছিল এগুলো। যার মধ্যে অন্যতম ছিল টিরানোসরাস রেক্স। কিন্তু টিরানোসরাসদের থেকেও ভয়ঙ্কর প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল! তার নাম প্লিওসর।
সম্প্রতি ১৫ কোটি বছর পুরনো সেই প্লিওসরের জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশালাকার সেই জীবাশ্ম দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন তারা। এই নতুন অনুসন্ধানের কথা ‘প্রসেডিংস অব দ্য জিওলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই আবিস্কার গবেষণার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পোল্যান্ডের সুইতোকার্জিকির কাছে একটি ভুট্টা খেতের মধ্যে প্লিওসরের এই জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সে সময়ের একটি বিশালাকার সরীসৃপ প্রাণী ছিল প্লিওসররা। খোঁজ পাওয়া প্লিওসরটি প্রায় ৩৩ ফুট লম্বা। তবে সে সময়ে এর থেকে আরও অনেক বড় প্লিওসর ছিল বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এদের চোয়ালে দাঁতের বিন্যাস ছিল অনেকটা কুমিরের মতো। টিরানোসরাসের থেকেও পাঁচ গুণ বেশি শক্ত ছিল এদের চোয়াল। দাঁতও ছিল ভীষণ ধারালো। এরা যা পেত, তাই খেত। এরা এতটাই ক্ষমতাশালী ছিল যে, প্রয়োজনে টিরানোসরাসদেরও চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারত তারা! তবে বিশালাকার এই প্লিওসররা সমুদ্রে বাস করত। সাঁতারের সুবিধার জন্য তাদের পাগুলো ছিল মাছের পাখনার মতো।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের সমস্ত প্রাণী, এমনকি তিমিদেরও খেয়ে ফেলত তারা। প্লিওসরদের পেশি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সমুদ্রের উপরে জলের কাছাকাছি উড়ে যাওয়া বড় আকারের পাখিদেরও এরাজল থেকে ঝাঁপিয়ে সহজেই ধরে ফেলতে পারত। প্লিওসরের জীবাশ্মের মধ্যে আবার সে সময়কার বিশাল সামুদ্রিক কচ্ছপের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। সামুদ্রিক কচ্ছপের খোলকের উপর প্লিওসরের ধারালো দাঁতের চিহ্ন দেখা গেছে। খোঁজ পাওয়া প্লিওসরটি ওই সামুদ্রিক কচ্ছপকেও খেয়েছিল বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের। পোল্যান্ডে এই অঞ্চলটিতে প্রচুর জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে সেখান থেকে ৮০ কোটি বছরের পুরনো এক বিশাল সামুদ্রিক প্রাণীর জীবাশ্ম উদ্ধার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র: লাইভ সায়েন্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।