নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম দফার বিপ টেস্ট হয়েছিল উৎসব মুখর পরিবেশে। ফিটনেসের অবস্থা যাই থাকুক, পরীক্ষা বেশ উপভোগ করেছিলেন ক্রিকেটাররা। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় পাল্টে গেল চিত্র। এবার গুরুগম্ভীর পরিবেশে দিলেন ফিটেনেসের পরীক্ষা। দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি সাংবাদিকদেরও। তবে স্বস্তির খবর মিলেছে সিনিয়র ক্রিকেটারদের জন্য।
প্রথমবার বিপ টেস্টে মোহাম্মদ আশরাফুল, আব্দুর রাজ্জাক, নাসির হোসেনরা বেঁধে দেওয়া এগারোর নিচে স্কোর করেছিলেন, তাদের জন্য গতকাল আয়োজন করা হয় আরেকটি পরীক্ষার। দ্বিতীয়বারের চেষ্টাতেও ‘বেঞ্চ মার্ক এগারো’ ছুঁতে পারেননি তারা। তবে আগের চেয়ে উন্নতি হওয়ায় নির্বাচকদের বিশেষ বিবেচনা নিয়ে জাতীয় লিগে থাকছেন তারা।
প্রথমবার পরীক্ষা না দেওয়া এবং প্রথমবারের পরীক্ষায় উৎরাতে না পারা সিটেল ছাড়া বাকি দলগুলোর ৪২ ক্রিকেটার ফিটনেস টেস্ট দিয়েছেন এদিন। পেসার আল আমিন হোসেন তুলেছেন ১২। মোহাম্মদ শরীফ ১১, ইমরুল কায়েস ১১.১। ১০ করে তুলেছেন রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ আশরাফুল ও আব্দুল রাজ্জাক। ১০.১ করে নাসির হোসেন ও তুষার ইমরান। সোহাগ গাজী থেমেছেন ৯.৮ করে। সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে ঢাকা বিভাগের ক্রিকেটাররা। ১৫ শতাংশ উন্নতি করে তাদের গড় পয়েন্ট ১১। সবচেয়ে কম উন্নতি হয়েছে বরিশাল বিভাগের। ৩ শতাংশ উন্নতি করে তাদের পয়েন্ট ১১.০২ পয়েন্ট।
বিসিবি ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার জানিয়েছেন আগেরবারে উৎরাতে না পারা সবাই এই পাঁচ দিনে উন্নতি করেছেন, ‘৩০-৩৫ জনের মতো দিয়েছে (পরীক্ষা)। এদের মধ্যে যারা খুব চেনা মুখ, যেমন- আশরাফুল, তারা সবাই উন্নতি করেছে কিন্তু কেউ একদম বেঞ্চ মার্ক (এগারো) স্পর্শ করতে পারেনি। তাদের জন্য হয়তো নির্বাচকরা আলাদা করে ভাববেন। তাদের বয়স এবং খেলার অভিজ্ঞতা হয়তো বিচার করা হবে।’
প্রথমবার ৯.৫ পাওয়া আশরাফুল এদিন পেয়েছেন ১০.১। দশের কাছাকাছি আছেন মোহাম্মদ শরিফ, নাসির, রাজ্জাকরাও। শিশুপুত্রের অসুস্থতায় খেলার বাইরে থাকা ইমরুল কায়েস মাঠে ফেরেন এই সপ্তাহে। প্রথমবার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। তিনিও দেন পরীক্ষা। তাতে এগারোর বেশি পেয়েছেন তিনি। জাতীয় দল ও বিসিবির কোনো ধরনের দলে অনেকদিন না থাকা পেসার আল-আমিন হোসেন এদিন সর্বোচ্চ ১২.১ স্কোর তুলতে পেরেছেন।
এগারো তুলতে পারেননি, তবে আগের চেয়ে উন্নতি করায় জাতীয় লিগ খেলার আশায় আশরাফুল। তবে জানা গেছে এবার বরিশাল বিভাগের হয়ে লিগ খেলার সুযোগ হচ্ছে তার। যদিও নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো কিছুটা ধোঁয়াশায় তিনি, ‘আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। শেষবার ৯.৭ ছিল আমি, আজ (গতকাল) ১০.১ দিয়েছি। আমি মনে করি, যত সময় যাবে আরও উন্নতি হবে। এখনো জানি না আসলে কী হবে। এতটুকু জানি উন্নতি হয়েছে। এভাবে ট্রেনিং করতে থাকলে উন্নতি হবে। ঠিক জানি না প্রক্রিয়াটা কি। যদি আবার দিতে হয় তাহলে দেব।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তুষার ইমরান। বয়স ও পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়ার তাগিদ দিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান, ‘আজকে (গতকাল) ৩০/৩৫ জনের মতো বিপ টেস্ট দিয়েছে। আগেরবার বিপ টেস্টে দেওয়া অনেকেই উন্নতি করেছে। তবে মানদ- অনেকেই পূরণ করতে পারেনি। তাদের জন্য হয়তো জাতীয় দলের নির্বাচকরা চিন্তা করবেন। তাদের বয়স ও পারফরম্যান্স বিবেচনা করা যায় কিনা।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সফলতম বোলার আব্দুর রাজ্জাক গুরুত্ব দিলেন বয়স বিবেচনা করে ফিটনেসের মানদ- ঠিক করার দিকে, ‘ফিটনেস নিয়ে নিয়মিত কাজ করলে ট্রেনাররা বুঝবেন কাকে নিয়ে কিভাবে কাজ করা উচিত। কার জন্য কতো পয়েন্ট করা উচিত। আমার বয়সে এসে যদি আমাকে ১২ তুলতে বলা হয় তাহলে এটা আমার জন্য কঠিন এবং অসম্ভব প্রায়।’ রাজ্জাক মনে করেন, পারফরম্যান্সকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানিয়েছেন যারা এগারো তুলতে পারবেন না, বারবার পরীক্ষা দিয়ে সেট করে দেওয়া সেই ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করার সুযোগ থাকছে তাদের সামনে। একইসঙ্গে বয়স, অভিজ্ঞতা এবং আগের আসরের পারফরম্যান্স বিচার করে বিশেষ বিবেচনা তো থাকছেই। আজই লিগের দলগুলো দেওয়া হবে জানিয়ে হাবিবুল জানান, তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দল সাজাচ্ছেন তারা, ‘আমরা আসলে কোনো বেঞ্চমার্ক ঠিক করি নাই। বয়স, পারফর্ম ও ফিটনেস টেস্টের ফল, এই তিনটা বিষয় দেখেই আমরা খেলোয়াড়দের দলে নিচ্ছি। যারা আজ টেস্ট দিয়েছে, তাদের ফলাফল আমরা হাতে পেয়েছি। এবার হয়তো অনেককে ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে ফিটনেসের ওপর কোনো ছাড় থাকবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।