মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সাথে দ্বন্দ্বের মধ্যেই ভারতের আরেক প্রান্তে সীমান্ত নিয়ে বিবাদের সম্বাবনা দেখা দিল। অরুণাচল পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তাপির গাও-এর অভিযোগ অরুণাচলে চীন প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসে একটি ব্রিজ বানিয়েছে। এভাবে অরুণাচলের একটা বড় অংশ দখলের চেষ্টা করছে চীন বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে একে অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাদের দাবি ওই অংশে কড়া নজরদারি রয়েছে। আর এই ধরণের অনুপ্রবেশ রুখতে দ্বিপাক্ষিক সামরিক বোঝাপড়া রয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশ ও চিনের তিব্বত অংশের মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণের জন্য ম্যাকমোহন লাইন রয়েছে। এলাকাটি ঘন বনাঞ্চল। অনেক দূরে উপজাতি সম্প্রদায়ের বাস। তারাই বনে শিকার করতে গিয়ে ওই কাঠের ব্রিজটি দেখতে পায়।
বিজেপি সাংসদ তাপির গাও এই বিষয় নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তার দাবি, ম্যাকমোহন লাইন থেকে ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ছাগালাম বলে একটি জায়গা রয়েছে। ছাগালামই সীমান্তের আগে শেষ জনবসতি এলাকা। সেখান থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে গভীর বনের ভিতর দইমুরু নালার উপর ওই কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। তার দাবি ব্রিজটি বানিয়েছে চীনা সেনা। তিনি আরো জানান, প্রায় এক দশক আগেই তিনি এই বিষয়ে লোকসভাকে জানিয়েছিলেন।
ভারতীয় সেনা বাহিনীর দাবি আরো অনেক জায়গার মতোই এই এলাকাতেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া মতো ভারত ও চীন দুই দেশের সেনাই মাঝে মাঝে এলাকায় টহলদারিতে বের হয়। যে জায়গায় ব্রিজটি পাওয়া গিয়েছে সেটি গভীর বনাঞ্চল বলে সেখানে হাঁটার একমাত্র পথ নালা বা নদীর অববাহিকা ধরে চলা। বর্ষাকালে পানি বেড়ে গেলে ওই এলাকায় পড়ে যাওয়া গাছ দিয়ে সাময়িক চলার মতো ব্রিজ তৈরি করা হয়। এটা ওই ধরণের কোনও ব্রিজই হবে। ওই এলাকায় চীনা সেনা বা নাগরিকদের কোনও স্থায়ী স্থাপনা নেই বলেই দাবি ভারপতীয় সেনাবাহিনীর।
তবে এইদিক দিয়ে চীন কিন্তু এর আগে বেশ কয়েকবারই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। শেষবার এমন ঘটেছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। চারদিন পর এক ফ্ল্যাগ মিটিং-এর মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছিল। ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল চীনা বাহিনী। তার আগে ২০১০ সালে কয়েকজন মালবাহক আবিষ্কার করেছিল ভারতের মাটিতে চীনের কিছু শ্রমিক রাস্তা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে তাদের হটিয়ে দেয়। এইবার অবশ্য ব্রিজ তৈরির দাবিকে আমল দিচ্ছে না সেনাবাহিনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।