Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রিংয়ে রহস্যজনক মৃত্যু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

তরুণী বক্সার জ্যোতি প্রধান বক্সিং রিং থেকে বের হয়ে চেয়ারে বসে বিশ্রাম নিতে নিতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। ভারতের দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের হয়ে দেশটির জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করেন ২০ বছর বয়সী ওই বক্সার।

জ্যোতি প্রধানের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এভাবে জ্যোতির মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পশ্চিমবঙ্গের বক্সিং ফেডারেশন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, অন্যান্য দিনের মতোই গত বুধবার পশ্চিমবঙ্গের খিদিরপুর থেকে সাইকেল চালিয়ে ভবানীপুরে অনুশীলন করতে এসেছিলেন জ্যোতি। বিকাল ৫টায় রিং-এ নেমে তিন মিনিট করে পরপর দুই বার পাঞ্চিং ব্যাগে ঘুষি মারার অনুশীলন করেছিলেন তিনি।

এরপর ক্লান্ত শরীরে বিশ্রাম নিতে গিয়ে চেয়ারে বসে পানি পান করতে গিয়েই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তার পানি আর পান করা হয়নি। দ্রæত স্থানীয় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান অনুশীলনের সঙ্গী সুরজ সিং ও শিবমকুমার সিং। চিকিৎসকরা জ্যোতিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে জ্যোতিকে বাঁচানোর চেষ্টায় গাফিলতি ছিল বলে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর গুরুতর অভিযোগ এনেছেন জ্যোতির সতীর্থরা। কমপক্ষে ১০ জন জুনিয়র বক্সার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের জানান, ওই সময় চিকিৎসকরা জ্যেতিকে ভালো করে দেখেননি। হাতে কি একটা লাগিয়ে দিয়ে তারা জানান, মারা গেছে। আরও একবার দেখুন বলে বারবার অনুরোধ করা হলেও চিকিৎসকরা কথায় কান দেননি।

বক্সারদের এমন গুরুতর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা উল্টো অভিযোগ করেন, জ্যোতির মৃত্যুও কারণ বক্সিং রিংয়ে স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত হতে পারে। আর এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই বক্সিং ক্লাবের সম্পাদক অসীম হালদার। তিনি বলেন, ‘অনুশীলন চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় রিংয়ে উপস্থিত রেফারি জানিয়েছেন, অনুশীলনে জ্যোতি কোনো আঘাত পায়নি। বিশ্রামের সময় পানি পান করতে গিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে।’

অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ নিয়ে ইতোমধ্যে এলাকায় বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে জ্যোতির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের পরই মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হবে। গত ১০ বছর ধরে বক্সিং শিখছিলেন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে জ্যোতি প্রধান। এর সঙ্গে তিনি কারাতেও শিখতেন। বেশ কয়েকবার জাতীয় ও স্টেট লেভেলে অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতেছেন। জাতীয় সোনার পদকও অর্জন করেছিলেন এই প্রতিশ্রæতিবান তরুণী বক্সার। সূত্র : কলকাতা২৪।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ