প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। এরইমধ্যে ফলও প্রকাশ হয়েছে। এ নির্বাচনে জয় লাভ করে পুনরাই সরকার গঠন করেছেন বিজেপি সরকার। বরাবরের মতো এবারের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন বেশ কয়েজন তারকা অভিনয় শিল্পী। এরমধ্যে অনেকেই প্রথমবারের মতো লড়েছেন ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে। এই তালিকায় ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে মাঠে ছিলেন অভিনেতা সানি দেওল। নির্বাচনের আগে অভিনেতা তার নির্বাচনী এলাকায় দিয়েছিলেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি। তাতেই হয়তো পাঞ্জাবের গুরুদাশপুরের ভোটারদের মন গলে গিয়েছিল। আর সে কারণেই অভিনেতার ঠাঁই হয়েছে সংসদে।
কিন্তু তিনি ইতোমধ্যেই জনগণের সঙ্গে বেঈমানি শুরু করেছেন। অকৃতজ্ঞ এবং বিশ্বাসঘাতকের মতো আচরণ করছেন সানি দেওল। এমনই এক অভিযোগ উঠেছে অভিনেতার বিরুদ্ধে। সনি দেওলের বিরোধী শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সানি নাকি জয় লাভের পর নির্বাচনী এলাকায় না এসে একজন প্রতিনিধিকে দায়িত্ব দিয়েছেন তার কাজ করার জন্য। আর তাতেই ফেটে পড়ছেন গুরুদাশপুরের সাধারণ জনগণ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, গুলপ্রীত পলহারি নামের এক ব্যক্তিকে সানি তার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের সুবিধা-অসুবিদার কথা জানার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। এরইমধ্যে অভিনেতা সাংসদের বিকল্প হিসেবে গুলপ্রীত পলহারিই নাকি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে হাজির হচ্ছেন সানির হয়ে। এখানেই শেষ নয়, একজন নির্বাচিত সাংসদের দায়িত্ব কিভাবে ওই লোক পালন করেন? এটা নিয়েও সাধারণের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সানির বিরুদ্ধে গোন্ডায় গোন্ডায় অভিযোগ টেনে সেখানকার অনেকেই ক্ষোভ ঝরানো কন্ঠে প্রশ্ন তুলেছেন। বলছেন, ‘নাচতে গিয়ে কেনো ঘোমটা দিতে হবে? যদি এমনটাই করবেন তাহলে নির্বাচন কেনো করলেন? তার স্থানে একজন যোগ্য জনপ্রতিনিধিই নির্বাচন করতেন। যিনি সার্বক্ষনিক মানুষের কাছে এসে তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনতেন। এবং সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতেন। একজন জনপ্রতিনিধির কাজ যেহেতু তিনি করতেই পারবেন না তাহলে কোনো শুধু শুধু নির্বাচন করতে গেলেন? আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘোল খাওয়ালেন?-এমন আরো অসংখ্য প্রশ্ন উঠেছে অভিনেতার বিরুদ্ধে।
তবে সানি দেওল বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু তার ভক্তদের দাবি অভিনেতা এমনটা করতেই পারেন না। এটা বিরোধী শিবিরের একটি চক্রান্ত বা নীল নকশাও হতে পারে। এটা সত্যি ভেবে কোনো ভাবেই অভিনেতাকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগই নেই। সময়ই বলে দেবে সানি দেওল আসল নাকি জালি। সময়ই বলে দেবে সানি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নাকি স্বার্থান্বেষী একজন ব্যক্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।