প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দেশের চলচ্চিত্রের এখন এমনই দৈন্যদশা যে কেবল উৎসবের দিনগুলো ছাড়া নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না বললেই চলে। যে গুটিকয় সিনেমা নির্মিত হচ্ছে, সেগুলো হয় দুই ঈদ, না হয় ভেলেন্টাইন ডে বা পহেলা বৈশাখকে টার্গেট করে নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া বছরের অন্য সময়ে নতুন সিনেমার দেখা পাওয়া ভার। অনেক সিনেমা হলও এসব উৎসবকে কেন্দ্র করে খোলা হয়। অথচ একটা সময় ছিল প্রতি সপ্তাহে দুটি করে নতুন সিনেমা মুক্তি পেত। ঈদ উৎসবে ছয়-সাতটি। এখন সিনেমার এতটাই আকাল যে উৎসব ছাড়া নতুন সিনেমা মুক্তি দুর্লভ হয়ে উঠেছে। আবার এসব উৎসবে সিনেমা মুক্তি নিয়েও রাজনীতি চলে। কারটা বন্ধ করে কারটা মুক্তি দেয়া হবে-এ নিয়ে নানামুখী রাজনীতি শুরু হয়। আশঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেসব সিনেমা উৎসব কেন্দ্রিক মুক্তি দেয়া নিয়ে নির্মিত হয়, এর মধ্যে দুয়েকটি সিনেমা পর্দার আড়ালে থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তি ও নায়কের কারণে বেশিরভাগ সিনেমা বুকিং দিয়ে ফেলে। সিনেমা হল মালিকদের অগ্রীম টাকা দিয়ে সিনেমা নিতে বাধ্য করা হয়। সিনেমা ব্যবসা না করলেও তা ফেরত দেয়া হয় না।
অর্থাৎ প্রভাবশালী কতিফয় ব্যক্তির সিনেমা চলুক বা না চলুক হল মালিকদের তাদের সিনেমা নিতে বাধ্য করে। এর ফলে অন্য নির্মাতাদের সিনেমা ভাল কোনো সিনেমা হল পান না। যা পান তাতে সিনেমার পুঁজি উঠে না। উৎসব কেন্দ্রিক সিনেমা মুক্তির এই একচেটিয়া রাজনীতি এখন ইন্ডাস্ট্রিতে চলছে। দেশের সিনেমা কতটা দৈন্যে উপনীত হলে এমন হতে পারে। এদিকে এক নায়ক নিজে একাই সিনেমা বাজার চাঙা করবেন বলে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দিয়েছেন। বছরে তিন-চারটি সিনেমা প্রযোজনা করবেন।
অবশ্য এমন ঘোষণা তিনি বহুবার দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে দেখা যায়নি। এবারের ঘোষণা কিছুটা বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ তার পেছনে প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছে। তার কারণে ঐ নায়কের সিনেমা তা মানসম্পন্ন হোক বা না হোক বেশিরভাগ হল মালিকরা নিতে বাধ্য। মুক্তির আগেই পুঁজি উঠিয়ে নিতে পারবেন। এতে সংশ্লিষ্ট নায়ক ও নেপথ্যের প্রভাবশালীরা লাভবান হলেও তা কোনোভাবেই সিনেমার উপকারে আসবে না। এমন হতে পারে এক সময় যেসব হল মালিকদের তাদের সিনেমা নিতে বাধ্য করা হচ্ছে তারা ঐ নায়কের সিনেমা মুক্তির সময় হল বন্ধ করে বসে থাকতে পারে। কারণ বেশি রেন্টালে সিনেমা নিয়ে যদি সেল করতে না পারেন, আবার বুকিংকৃত অর্থ ফেরত না পান-তাহলে তারা কেন সেই সিনেমা নেবে। ফলে ঐ নায়কের সিনেমা যে হল মালিকদের কাছে অচিরেই আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠবে তাতে সন্দেহ নেই। তার সিনেমা মুক্তির কথা শুনলেই হল মালিকরা পিছিয়ে যাবেন। অথচ ঐ নায়ক বুঝতে পারছে না, প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রভাবের কারণে হয়তো মুক্তির আগেই তার সিনেমার পুঁজি উঠিয়ে নিচ্ছেন ঠিকই, তবে তা খুব বেশি দিন টিকবে না। এতে তার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি চাঙা করার ঘোষণা বিফল হতে বাধ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।