প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : গত এক দশক ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও মুক্তির সংখ্যা কমেছে। দশ বছর আগে বছরে গড়ে যেখানে সিনেমা মুক্তি পেত প্রায় ৯০টি। এখন মুক্তি পাচ্ছে গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি। এর মূল কারণ দর্শক চাহিদা সম্পন্ন সিনেমা নির্মিত না হওয়া। ফলে দর্শক চলচ্চিত্র বিমুখ হয়ে পড়ছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার সংখ্যা ৬৫টি। এরমধ্যে সিংহভাগই স্বল্প বাজেটের। ২০০৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯৯। এ হিসেবে গত দশ বছরে ব্যবধানে সিনেমা মুক্তির পরিমাণ কমেছে। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্র শিল্প ভয়াবহ অশ্লীলতার কবলে পড়েছিল। স্বল্প বাজেটে অশ্লীল সিনেমা নির্মাণের ধুম পড়েছিল। ২০১৫ সালে অশ্লীল সিনেমা নির্মিত না হলেও স্বল্প বাজেটের মানহীন সিনেমা নির্মিত হয় বেশি। এমনকি কিছু টেলিফিল্ম সিনেমা বলে মুক্তি দেয়া হয়েছে। কিছু সিনেমা নির্মিত হয়েছে স্রেফ পুরষ্কার পাওয়ার আশায়। যেগুলোর কমার্শিয়াল ভেল্যু বলে কিছু ছিল না। গত দশ বছরে শুধু সিনেমা মুক্তির সংখ্যাই কমেনি, সিনেমা হলের সংখ্যাও কমে গেছে। ২০০৫ সালে যেখানে প্রায় ১ হাজার সিনেমা হল টিকেছিল, সেখানে ২০১৫ সালে সিনেমা হল টিকে আছে মাত্র ৩০০। ২০০৫ সালে অশ্লীল সিনেমার প্রযোজকরা জোটবদ্ধ হয়ে কম বাজেটে সিনেমা নির্মাণের ফর্মুলা জনপ্রিয় করে তোলেন। যাতে সিনেমা হিট না হলেও পুঁজি ফেরতের গ্যারান্টি থাকে। ২০১৫ সালে এসে অশ্লীল সিনেমার নির্মাণ কমলেও কম বাজেটে নির্মিত অধিকাংশ সিনেমা পুঁজি ফেরত পায়নি। মাত্র ৫-৬টি সিনেমা পুঁজি ফেরত পেয়েছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে বলে চলচ্চিত্রবোদ্ধারা মনে করেন। চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে এ শিল্পের সমস্যা দূর করে দর্শক উপযোগী কমার্শিয়াল সিনেমা নির্মাণ করতে হবে বলে তারা মত দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।