পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার যোগিন্দ্র নগর গ্রামে নারী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামিরা সাক্ষী জালাল উদ্দিনের হাত-পা কেটে কুপিয়ে হত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জালাল আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাবেন এমন খবর পাওয়ার পরই আসামিরা তাকে হত্যা করে।
নিহত জালালের বাড়ি যোগিন্দ্র নগর গ্রামে। পিতার নাম আমজাদ হোসেন। এলাকাবাসী জানায়, ২০১৩ সালের ১৩ মে যোগিন্দ্র নগর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত সফুরা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে আত্রাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একই এলাকার সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামসহ আরো অজ্ঞাত পরিচয় ৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
সফুরা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন জালাল উদ্দিন। আদালতে সাক্ষ্য দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন জালাল উদ্দিন। পথে যোগিন্দ্র নগর বাজারের কাছে আসামিরা ঘেরাও দিয়ে জালাল উদ্দিনের ডান হাত কেটে নেয়। একই সাথে কুপিয়ে বাম হাতসহ পা কেটে জখম করে।
জালালকে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার পর তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে জালাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এদিকে ঘটনার পরা গুরুদাসপুর থানা পুলিশ অভিযানে বের হলেও গতকাল রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাছাড়া জালালের বিচ্ছিন্ন ডান হাত উদ্ধার করতে পারেনি। নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে জালালের মৃত্যু হয়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে এই হামলারা জন্য সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে সন্দেহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি হামলাকারীদের আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে রয়েছে। তিনি আরো জানান, গত ৮ বছর ধরে পরিবার নিয়ে জালাল ঢাকায় বসবাস করছেন। গত বুধবার তিনি সফুরা ধর্ষণ ও হত্যা হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। গতকাল সকালে যোগেন্দ্র নগর গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়ে নাটোর আদালতে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।