পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে খুন হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের পুরান সৎপুর গ্রামের বাসিন্দা আহমদ আলী হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যার ৩ দিনের মাথায় মূল রহস্য উদঘাটন করার পাশাপাশি আহমদ আলী হত্যাকান্ডের অভিযোগে থানায় দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্তসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রোববার ভোরে উপজেলার হরিকলস এলাকা থেকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত জমির হোসেনকে ও সন্ধ্যায় সৎপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত মতিউর রহমান ওরফে আব্দুল মতিনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, গ্রেফতারকৃত জমির হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করেছে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের পর আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে আহমদ আলীকে তার পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে না পেয়ে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। এরপর রাত আনুমানিক ১২টার দিকে নিজ মৎস্য খামারের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আহমদ আলী হত্যাকান্ডের ঘটনায় রোববার নিহতের বড় ভাই সিকান্দর আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, প্রহরী জমির হোসেন ও বিএনপি নেতা মাসুম আহমদ মারুফের বোন ফাতেমা বেগমের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় এবং তাজপুর বাজারস্থ মৎস্য আড়ৎ এর কমিটি গঠনসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আলীকে হত্যা করে। হত্যার রহস্য লোপাট করার জন্য আহমদ আলীকে হত্যা করে তার লাশ নিজ মৎস্য খামারের পুকুরে ফেলে রাখে ঘাতকরা।
মামলায় মৎস্য খামারের প্রহরী ও সৎপুর খাসজান গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র জমির হোসেন (৩৫), পুরাণ সৎপুর গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের পুত্র ও সাবেক ইউপি মেম্বার মতিউর রহমান ওরফে আব্দুল মতিন (৬৪), মৃত তেরা মিয়ার পুত্র ও দেওকলস ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমদ মারুফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরোও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামাকে অভিযুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলেন নিহত আহমদ আলীর মৎস্য খামারের প্রহরী জমির হোসেন ও সাবেক ইউপি মেম্বর মতিউর রহমান ওরফে আব্দুল মতিন। গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত রয়েছে মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করে প্রহরী জমির হোসেন। একই দিন আদালতেও সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে থানায় অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার ওসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।